দিল্লি স্টেশনের দুর্ঘটনায়ও হতাহতের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি?

ভারতের নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদদলিত হয়ে ১৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, দিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে বহু মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
আরও পড়ুন>>
- দিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে ৪ শিশুসহ ১৮ জনের মৃত্যু
- মহাকুম্ভে পদদলিতের ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা
- ভারতের হাথরসে পদদলিত হয়ে মৃত্যু বেড়ে ১২১
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি আরও বলেন, মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রচুর মানুষ প্রয়াগরাজ যাচ্ছেন। এটি সরকার ও রেল কর্তৃপক্ষ জানতো। তবুও কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? এই ঘটনা আবারও সরকারের চরম ব্যর্থতা ও অবহেলার প্রমাণ দেয়।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রও নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে বলেন, এই দুর্ঘটনায় নারী এবং শিশুরাও প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল একে ‘বড় দুর্যোগ’ বলে আখ্যা দেন এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, জাতীয় রাজধানীতে এমন ঘটনা সরকারের অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার চূড়ান্ত নিদর্শন। কেন বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলো না? কেন যথাযথ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি? সরকার আসল তথ্য প্রকাশ করছে না। আমরা সঠিক মৃত ও আহতের সংখ্যা জানতে চাই।
এর আগে, উত্তর প্রদেশে চলমান কুম্ভমেলায় পদদলিতের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে যা জানা গেলো
শনিবার রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটের দিকে দিল্লি রেলস্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও চারজন শিশু, যার মধ্যে দুইজনের বয়স ১০ বছরের নিচে। আহত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে এবং স্টেশনের ঘোষণাগুলো বিশ্লেষণ করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/