দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

আমেরিকার পেমেন্ট সিস্টেমে অস্থিরতা: মাস্কের হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের পেমেন্ট সিস্টেমে ইলন মাস্কের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। সামাজিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডভোক্যাপ অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে তারা এখনো সরকারের কাছ থেকে তাদের পাওনা অর্থ পায়নি।

গত ২৮ জানুয়ারি উইসকনসিনের ফন্ড ডু ল্যাক শহরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘হেড স্টার্ট’ কর্মসূচির আওতায় কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারের কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার চেয়েছিল। তবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা পেয়েছে মাত্র ৪৪ হাজার ডলার। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শিগগির অর্থ না পেলে অ্যাডভোক্যাপ তাদের ‘হেড স্টার্ট’ কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। ফলে অন্তত ৮০ জন কর্মী চাকরি হারাবেন এবং ২০২ জন শিশু সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।

আরও পড়ুন>>

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় উঠে এসেছে ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) কার্যক্রম। জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট মাস্কের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যুরো অব দ্য ফিসকাল সার্ভিসে প্রবেশাধিকার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অর্থ লেনদেন নিয়ন্ত্রণকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

গত ৩১ জানুয়ারি এই বিভাগের দীর্ঘদিনের প্রধান ডেভিড লেবরিক হঠাৎ পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই ট্রেজারির লেনদেন ব্যবস্থায় অস্থিরতা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, মাস্কের ডিওজিই টিম ইউএসএআইডি’র অর্থ প্রদান স্থগিত করেছে এবং হয়তো সরকারি পেমেন্ট সিস্টেমে নতুন কোড সংযোজন করেছে, যা অর্থ প্রদানের বিলম্ব ঘটাতে পারে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের একটি ফেডারেল আদালত মার্কিন পেমেন্ট সিস্টেমে ডিওজিই টিমের অ্যাক্সেস স্থগিত করেন এবং তাদের পাওয়া সব তথ্য ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। তবে ট্রেজারি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, এই নির্দেশ না-ও মানা হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মাস্ক এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিচারককে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং তাকে অভিশংসনের দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আদালতের আদেশকে ‘বিচারিক হস্তক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।

এ অবস্থায় অ্যাভোক্যাপের মতো সংস্থাগুলোর জন্য সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এপ্রিল মুলিন্স-ড্যাটকো জানিয়েছেন, তাদের কর্মীরা আগামীতে বেতন পাবেন কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এবং অনেকে নতুন চাকরির সন্ধান করছেন।

তিনি বলেন, আমাদের পাঁচ বছরের চুক্তি রয়েছে এবং এর অধীনে প্রতিটি লেনদেন কঠোরভাবে নিরীক্ষিত হয়। কিন্তু সরকার নিজেই চুক্তি লঙ্ঘন করছে।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্থিরতা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।