মালয়েশিয়ায় সমকামিতার অভিযোগে দুই নারীকে বেত্রাঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মালয়েশিয়ায় সমকামিতার অভিযোগে দুই মুসলিম নারীকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি গাড়িতে সমকামিতার অভিযোগ উঠলে তারা দোষ স্বীকার করায় ধর্মীয় আদালত তাদের বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন।

তেরেঙ্গানু রাজ্যের শরিয়া হাইকোর্টে ২২ এবং ৩২ বছর বয়স্ক ওই দুই মুসলিম নারীর প্রত্যেককে ছয় বার করে বেত্রাঘাত করা হয়।

স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, শতাধিক ব্যক্তি এই বেত্রাঘাতের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। মালয়েশিয়ার ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় উভয় ধরণের আইনেই সমকামিতা অবৈধ।

সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানায়, এই রাজ্যে সমকামী যৌন সম্পর্কের অভিযোগে এটাই প্রথম দণ্ডাদেশ এবং প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের ঘটনাও এটিই প্রথম।

তবে দণ্ডিত দুই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। গত এপ্রিল মাসে তেরেঙ্গানুতে একটি গাড়ির ভেতর থেকে ইসলামি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা তাদের আটক করে। পরে তারা দোষ স্বীকার করলে তাদের ৮০০ মার্কিন ডলার সমমানের জরিমানা এবং বেত্রাঘাতের দণ্ড দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। উইমেন্স এইড অর্গানাইজেশন নামে একটি নারী সংগঠন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ ঘটনায় তারা মর্মাহত।

তারা বলেছে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি সম্মতির ভিত্তিতে যৌনক্রিয়া করে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত নয়, বেত্রাঘাতের দণ্ড তো নয়ই।

তবে তেরেঙ্গানু রাজ্যের নির্বাহী কাউন্সিলের একজন সদস্য সাইফুল বাহরী মামাত এই শাস্তিকে সমর্থন করে বলেছেন, কাউকে নির্যাতন বা আহত করার জন্য এটা করা হয়নি বরং প্রকাশ্য বেত্রাঘাতের উদ্দেশ্য হলো - যাতে সমাজ এ থেকে একটা শিক্ষা গ্রহণ করে।

মালয়েশিয়া মধ্যপন্থী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে সম্প্রতি বছরগুলোতে দেশটিতে ধর্মীয় বিধি-বিধানের বিষয়ে জোর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। দেশটিতে দুই ধরনের আইনের প্রয়োগ রয়েছে। মুসলিমরা বিবাহ, বন্দী অধিকারসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়ে শরিয়াহ ও অন্য ধর্মাবলম্বীরা দেওয়ানি আইনের অধীন।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।