করোনা ও এমপক্সের পর এবার নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটোপনিউমো (এইচএমপি) সংক্রমণ রোধে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ।
ভাইরাসটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দেখা দিয়েছে। এর হাত থেকে সুরক্ষা পেতে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন সচেতনমূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এইচএমপি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ২০০১ সালের নেদারল্যান্ডসে। দুই বা তার বেশি মানুষের মধ্যে সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করলে তা থেকেও ভাইরাসটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি সংক্রমণ ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চীনে এইচএমপি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেটি জাপান, মালয়েশিয়া, হংকং ও ভারতে ধরা পড়ে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘এইচএমপি’ ভাইরাস, এর লক্ষণ কী কী? কতটা বিপজ্জনক ‘এইচএমপি’ ভাইরাস?এসব দেশের যাত্রীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হচ্ছে। মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান, সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করছে ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভারত থেকে ফিরে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী সুভাস চন্দ্র, শর্মিলা রানী জানান, তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন, ফেরার পথে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এইচএমপি ভাইরাসের পরীক্ষা না করলেও বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে এবং ভাইরাসটি থেকে নিরাপদ থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের কেউ আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করছেন ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
Advertisement
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, এইচএমপি সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক একটি চিঠি হেড অফিস থেকে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাচ্ছি।
এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এইচএমপি ভাইরাসের আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে মাঙ্কিপক্স, ওমিক্রন, করোনা, নিপা ও জিকা ভাইরাস রোধেও সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল।
মো. জামাল হোসেন/জেডএইচ/এমএস