বিবিএ মূলত ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হলেও বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এ বিষয়ে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করতে পারেন। ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) পড়ে প্রধানত ব্যবসা পরিচালনার খুঁটিনাটি জানা যায়।
Advertisement
একটি ছোট ব্যবসার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি পরিচালনা সংক্রান্ত জ্ঞান এই প্রোগ্রামে রয়েছে। তাই ব্যবসার সাথে জড়িত যে কোনো বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকলে, এমনকি বড় কর্পোরেট হাউজে কাজ করার জন্যও বিবিএ হতে পারে ভালো একটি পছন্দ। এমনকি এখনও বিষয় হিসেবে এর চাহিদা রয়েছে।কোথায় পড়বেন?
বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশের দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন ব্যবসায় প্রশাসনের এই প্রোগ্রাম বিবিএতে। হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই বিবিএ ও এমবিএ (মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন নিয়ে পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা ইনস্টিটিউট। যেমন ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ (ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট)। এই ইনস্টিটিউটগুলো ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে ডিগ্রি দিয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পছন্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।
আরও পড়ুন জুলাই বিপ্লব যুক্ত হবে রাবির ইসলামের ইতিহাস কারিকুলামে কেন পড়বেন সাংবাদিকতা কেন পড়বেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি ডিগ্রি অর্জনের পর?বিবিএ পড়ে কাজের অভাব হয় না। তবে কোন ধরনের কাজে নিজের আগ্রহ আছে, সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা যা করে আপনি সন্তুষ্ট হবেন, সে কাজেই আপনার উন্নতি দ্রুত হবে। বিভিন্ন রকম প্রতিষ্ঠানের বিচিত্র সব পদে বিবিএ-এমবিএ করা শিক্ষার্থীদের গুরুত্বের সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়।
Advertisement
ব্যাংক, বিমার মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অভিজাত সেবাভিত্তিক বা পণ্য উৎপাদন ও বিপণনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পদ আছে বিবিএ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। একাডেমিক রেজাল্ট ভালো হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ আছে। সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন এনজিও এবং কৃষিভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও।
বিবিএতে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায় এবং বিশ্লেষণ করতে হয় তা শেখানো হয়, যা বর্তমান চাকরির বাজারে বেশ চাহিদাসম্পন্ন একটি বিষয়। যেকোনো কোম্পানির প্রশাসনিক পদে বিবিএর প্রার্থীরা এগিয়ে থাকেন। আর কেবল চাকরিই নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও আছে এই প্রোগ্রামে গ্র্যাজুয়েটদের।
অন্যদিকে ভিন্ন কোনো বিষয়ে স্নাতক করে পরে অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশের আগে এমবিএ করে থাকেন। নির্দিষ্ট কোনো সাবজেক্টকে মেজর করে এমবিএ করলে কর্মক্ষেত্রে আরো দক্ষ হতে বা পদোন্নতি পেতে সুবিধা হয়।বিবিএ পড়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিবিএর শিক্ষার্থীর বিপুল সংখ্যার কারণ হলো এর বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র। প্রতি বছর প্রচুর নতুন গ্র্যাজুয়েট চাকরির বাজারে ঢুকছেন। তারা নিজ নিজ দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাচ্ছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, আপনি কেন এই বিষয়ে ডিগ্রি নিতে পারেন।
Advertisement
এএমপি/আরএমডি/জিকেএস