অন্তর্বর্তী সরকারের পঞ্চম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উত্থাপিত হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন হবে ৩ হাজার ৯০৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৮৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
Advertisement
বুধবার (৮ জানুয়ারি) একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য প্রকল্পগুলো প্রস্তুত করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার পরিকল্পনা কমিশনে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় সব উপদেষ্টা, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিন সভায় ‘চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হবে, যার মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারিত। প্রকল্পটির খরচ হবে ৪৩৭.০৭ কোটি টাকা এবং এটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
Advertisement
মোংলা বন্দরে ‘পশুর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং’ প্রকল্পও পরিকল্পনায় রয়েছে, যা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে ১ ৩৮৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে হবে।
আরও পড়ুন
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ: পরিকল্পনা উপদেষ্টা মৌলভীবাজার সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৯৩৬ কোটি ৫৬ কোটি টাকা হবে। এটি বাস্তবায়ন করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মেয়াদকাল জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।
এছাড়া, `Establishment of Global Maritime Distress and Safety System & Integrated Maritime Navigation System (EGIMNS)' প্রকল্পটি ১১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৯৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা হয়েছে, যা নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদি।
Advertisement
‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ২২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৬১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হয়েছে, যা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।
‘ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ বাস্তবায়িত হবে ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকায়, যা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) পরিচালনা করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল নভেম্বর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত।
‘সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় বাস্তবায়ন করবে বিএডিসি। এর মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত।
‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত।
‘ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ প্রকল্পটি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) বাস্তবায়ন করবে এবং এর ব্যয় হবে ৬৪৬ কোটি ৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদকাল অক্টোবর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত।
শেষে, `Construction of Bangladesh Buddhist Monastery Complex at Lumbini Conservation Area, Nepal' প্রকল্পের ব্যয় হবে ৬৮.০৮ কোটি টাকা, যা বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।
এমওএস/ইএ/এএসএম