স্বাস্থ্য

শুধু সংখ্যা নয়, গবেষণার গুণগত মানও বাড়াতে হবে

শুধু গবেষণার সংখ্যা নয়, গুণগত মানও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

Advertisement

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় উপাচার্য বলেন, বিএসএমএমইউতে সবচাইতে বেশি গবেষণা হয়। গবেষণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবারই উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণামূলক। বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসন গবেষণার ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে গবেষণার মাধ্যমে যাতে রোগীরা উপকৃত হন, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এসময় উপাচার্য গবেষণার কারিগরি ও ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, উন্নতমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। গবেষণার বিষয়ে যে সব ফ্যাকাল্টি দায়িত্বে থাকেন তাদেরকে আরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

Advertisement

উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, শুধু কথায় নয়, গবেষণার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। সেই লক্ষ্য পূরণে বিএসএমএমইউতে সেন্ট্রাল রিসার্চ সেন্টার চালু করা হবে। জার্নাল ক্লাবকে ঢেলে সাজানো হবে। গবেষণার দায়িত্বে যারা থাকবেন অবশ্যই তাদের গবেষণার জন্য অধিক সময় দিতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, শুধু পাশের জন্য থিসিস করা বা দায়সারা ধরনের গবেষণা করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন নতুন গবেষণার দিকে মনোযোগী হতে হবে। এমন যেনো না হয় যে, একই ধরণের থিসিস বা গবেষণা একটু পরিবর্তন করে নতুন মোড়কে সাজানো হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহল আমিন, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, বিএসএমএমইউর জার্নালের এডিটর অধ্যাপক ডা. এম মোস্তফা জামান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. ফেরদৌস হাকিম প্রমুখ।

Advertisement

এএএম/এসআইটি