কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসও ছড়াতে শুরু করেছিল চিন থেকে। এবার এইচএমপি ভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে চিনে। ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাসকে কোভিড-১৯ এর মতোই বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
যদিও দুটি ভাইরাসই বিভিন্ন ভাইরাল পরিবারের অন্তর্গত। তাই তাদের মধ্যে অনেকও মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যার কারণে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সঙ্গে এইচএমপি ভাইরাসের বেশ কিছু মিল আছে। করোনা সংক্রমণ মূলত ছড়ায় আপার রেসপিরেটরি ট্র্য়াকে অর্থাৎ শ্বাসনালিতে। এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণও ছড়াচ্ছে সেখানেই। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ছিল জ্বর। নতুন ভাইরাসের সংক্রমণেও জ্বর আসছে।
তবে করোনার ক্ষেত্রে আক্রান্তদের স্বাদ-গন্ধ চলে যেত। এক্ষেত্রে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাস হাঁচি, কাশির মাধ্য়মে ছড়ায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এইচএমপি ভাইরাসও হাঁচি-কাশির মাধ্য়মে ছড়াতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন
কাঁচা টমেটো খেলে শরীরে কী ঘটে? শীতে গরম নাকি ঠান্ডা পানি পান করা উচিত?অন্য় রোগে আক্রান্তদের অর্থাৎ যাদের কোমর্বিডিটি আছে, করোনার ক্ষেত্রে তাদের ঝুঁকি ছিল সবচেয়ে বেশি। এইচএমপির ক্ষেত্রেও বিষয়টি গুরুতর এমনকি মারাত্মকও হতে পারে।
তবে আশার কথা হলো, চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাস কোভিড-১৯ এর মতো অজানা কিংবা নতুন নয়। এই ভাইরাস পূর্ব পরিচিত। শীতকালে বিভিন্ন দেশে যেসব ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ে, এইচএমপিভি তাদের মধ্যে অন্যতম।
শিশুদের ও যাদের ক্রনিক অসুখ আছে বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চিন্তার বিষয় হতে পারে। তাই এইচএমপি ভাইরাস কী আগামী দিনে করোনার মতো মারাত্মক চেহারা নিতে পারে? তা নাকি আগামী দিনেই স্পষ্ট হবে হবে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
Advertisement
কোভিড-১৯ এর মতোই এইচএমপিভিও শ্বাসযন্ত্রের ফোঁটা ও দূষিত পৃষ্ঠের সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এদের লক্ষণগুলোও একই রকম। যার মধ্যে আছে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। এই ভাইরাসে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে আছে।
সূত্র: এবিপি লাইফ
জেএমএস/এমএস