জাতীয়

গণঅভ্যুত্থানের লাখো মানুষের মুখের গল্প নিয়ে হবে ভিডিও আর্কাইভ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া এক লাখ মানুষের গল্প নিয়ে ভিডিও আর্কাইভ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

Advertisement

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে রিমেম্বারিং মনসুন রেভ্যুলেশন কর্মসূচির আওতায় ৮টি বিভাগে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের কনটেন্ট বা ফিল্ম নির্মাণে ওয়ার্কশপ পরিচালনার জন্য ৮ জন চলচ্চিত্র পরিচালকের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- দ্রুত মুছে যায়। মানুষের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইতিহাস যাতে দ্রুত মুছে না যায় সেই চেষ্টাটা করা। আমরা সেই চেষ্টাটা করছি। আগে মানুষ মুখে-মুখে গল্প বলতো। এখন তো প্রযুক্তি এসেছে, ভিডিও ফুটেজ আছে, ভিডিও ক্যামেরায় অনেক কিছু রেকর্ড করা হয়েছে। সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা দুই রকম কাজ করছি। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের ভিডিও ফুটেজ চাচ্ছি। যার কাছে যে ফুটেজ আছে সেগুলো যাতে আমাদের কাছে পাঠানো হয়। আমাদের ন্যাশনাল আর্কাইভে একটা আলাদা জুলাইয়ের জন্য ভিডিও আর্কাইভ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এটা সংরক্ষণ করা হবে।

Advertisement

আর একটা কাজ হচ্ছে এখনও অনেক জিনিসপত্র আছে, যেগুলো স্মারক। যেমন আনাস যে চিঠিটা লিখে গেল তার মাকে, সুমাইয়া যে বুলেটের আঘাতে মারা গেল সেই বুলেটের খোসাটা এখনো তার মায়ের কাছে আছে- এমন অনেক জিনিস রয়েছে। কিন্তু সেটা ৫/১০ বছর পরে থাকবে না। এগুলো যাতে আমাদের দেওয়া হয়, আমরা এগুলো ফিজিক্যালি আর্কাইভ করবো।

আরও পড়ুন>>> জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন যে ৮ পরিচালক

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, গণভবনে যে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর হচ্ছে, সেখানে কিছু যাবে, কিছু আমাদের জাতীয় জাদুঘরে যাবে, কিছু আমাদের আর্কাইভে থাকবে। এটা নিয়ে আমাদের ভেতরে ভেতরে কাজ চলছে। রিফ্লেকশনগুলো কিছুদিনের মধ্যেই যখন কমিউনিকেশন ম্যাটেরিয়ালগুলো বাইরে যাবে, তখন আপনারা দেখতে পারবেন।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, আরেকটি কাজ হচ্ছে, এই যে আন্দোলনটা হয়েছে, সেখানে শত শত মানুষ শহীদ হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ গুলি খেয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন। এদের টেস্টিমনি বা সাক্ষ্য আমরা সবাই রেকর্ড করতে চাই। আমাদের ভিডিও আর্কাইভে রাখতে চাই। এটা খুবই পাওয়ারফুল হবে।

তিনি বলেন, আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছেন, এ রকম এক লাখ মানুষের সাক্ষ্য, গল্পের মতো করে তারা বলবেন। এটা যদি আমরা একটা আর্কাইভে সংরক্ষণ করতে পারি, তাহলে আমি মনে করি এটা ফলেন (পতিত) ফ্যাসিস্ট বা ভবিষ্যতে কেউ যদি ফ্যাসিস্ট হতে চায়, এটা তাদের জন্য একটা বিশাল দেয়াল হিসেবে কাজ করবে। এই দেয়াল অতিক্রম করে ফ্যাসিস্ট হওয়াটা সহজ হবে না।

Advertisement

এই কাজটি আমরা করছি। জুলাইয়ের মধ্যেই ওপেন হবে, আমরা শেষ করতে পারবো বলে মনে করছি বলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

আরএমএম/এসআইটি/এএসএম