দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। অবসর সময় কাটাতে কিংবা একঘেয়েমি দূর করতে ইনস্টাগ্রাম রিলস বা টিকটকে ঢুকে পড়ছেন। আর একবার রিলস বা টিকটক দেখা শুরু করলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কখন কেটে যাচ্ছে খেয়ালই থাকে না।
Advertisement
এমন আসক্তিকে বলা হয় ব্রেইন রট প্রবণতা। কিন্তু নিম্নমানের এসব ভিডিও কনটেন্ট দেখে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হারাচ্ছেন মানুষ। ব্রেইন রট শব্দটির সঙ্গে অনেকেই হয়তো পরিচিত এরই মধ্যে। কারণ ২০২৪ সালের সেরা শব্দ নির্বাচিত হয়েছিল এই শব্দটি।
ব্রেইন রট শব্দটি আসলে মানুষের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিস্থিতির অবনতি বোঝাতে ব্যবহার হয়ে থাকে। যে অবনতি তৈরি হয় অনলাইনে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ অতি গুরুত্বহীন বিষয়ের পেছনে মাত্রাতিরিক্ত সময় খরচ করার জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার কমিউনিটিতে ছড়ায়। একঘেয়েমি কাটাতে মানুষ ইনস্টাগ্রাম রিলস কিংবা টিকটক ভিডিও দেখতে শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে নিম্নমানের কন্টেন্ট দেখা শুরু করলে, মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা কমে যেতে থাকে। এটি শুধু মানসিক চাপই বাড়ায় না, বরং অবচেতনভাবে ব্যক্তির আচরণেও পরিবর্তন আনে।
Advertisement
ব্রেই রটের কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা থেকে বুঝতে পারবেন আপনি এখন এই স্তরে আছেন। শিশু থেকে বুড়ো সবারই এমন অবস্থা হতে পারে। লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন আপনার মস্তিষ্ক এখনো সচল আছে নাকি ব্রেইন রটের পর্যায়ে চলে গেছে। যেমন-শিশুদের মধ্যে মস্তিষ্কের পচনের ফলে মনোযোগ কমে যাওয়া, একাডেমিক কর্মক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়া।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়া, কম অনুপ্রেরণা, বিরক্তি এবং স্মৃতি ও বিনোদনের জন্য ডিভাইসের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেখা যেতে পারে। এ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বিশেষজ্ঞরা ব্যবহারকারীদের স্ক্রিন টাইম সীমিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন ল্যাপটপ স্লো হলে যা করবেন যে ৪ শব্দ গুগলে সার্চ করলে মজার ব্যাপার ঘটবেকেএসকে/জিকেএস
Advertisement