ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ। দেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছেন তারা। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের মাথায় সবার আগে প্রথম দুটি বাক্যই আসে। ফর্ম যেমনই থাকুক, কোহলি ও রোহিত দেশের সুপারস্টার; এমন ভাবনা থেকেই তাদেরকে দলে রাখে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাও (বিসিসিআই)।
Advertisement
এদিকে বিসিসিআইয়ের গৎবাঁধা সুপারস্টার বুলি মোটেই পছন্দ নয় বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ভারতীয় তারকা হরভজন সিংয়ের। কিংবদন্তি এই স্পিনারের দাবি, খুব শিঘ্রই বিসিসিআইকে এই ধরনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
হরভজনের ভাবনা, কোহলি ও রোহিতকে সুপারস্টার তকমা দিয়ে খেলানো বন্ধ করতে হবে। পারফরম্যান্সের বিবেচনায় ক্রিকেটার বাছাই করতে হবে। অর্থাৎ যারা ভালো করবে তারাই খেলবে। সম্ভাবনাময়ীদের দলে জায়গা দিতে হবে।
সাবেক এই কিংবদন্তি মনে করেন, যদি সুপারস্টার হওয়া কারণে কোহলি ও রোহিতকে দলে রাখা হয়, তাহলে যারা অতীতে ভারতের জার্সিতে ২২ গজের উইকেট কাঁপিয়েছেন, তাদেরকেও দলে আনা উচিত। আর যদি সেটি না হয়, তাদেরকে রোহিত-কোহলিকে খেলানোর কোনো মানে নেই।
Advertisement
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই একটা খ্যাতি আছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে কপিল দেব, অনিল কুম্বলে বা যারা ভারতের সবচেয়ে বড় ম্যাচজয়ী হয়েছেন তাদের যোগ করুন। বিসিসিআই এবং নির্বাচকদের শক্তিশালী হওয়া উচিত। ভারতের উচিত সুপারস্টার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা।’
সদসমাপ্ত বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে ভারত। শুরু থেকেই প্লপ ছিলেন রোহিত। কোহলিও ভালো করতে পারেননি। অথচ বিকল্প ক্রিকেটার নিয়েই অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারত। স্কোয়াডে ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন ও সরফরাজ খানের মতো উঠতি তারকা। তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে হরভজন বলেন, ‘অভিমন্যু ঈশ্বরনকে সফরে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে খেলেনি। সুযোগ দেওয়া হলে ভারতের হয়ে খেলোয়াড় হতে পারতো সে। সরফরাজেরও একই অবস্থা। এখন সামনে ইংল্যান্ড সফর। যে খেলোয়াড় পারফর্ম করবে তাদেরই সেখানে যাওয়া উচিত। সুনামের ভিত্তিতে খেলোয়াড় বাছাই করা উচিত নয়।’
সিডনিতে শেষ টেস্টে অবশ্য রোহিত নিজেই দল থেকে সরে দাঁড়ান। জাসপ্রিত বুমরাহর নেতৃত্ব এই ম্যাচ খেললেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ বাঁচাতে পারেনি ভারত।
Advertisement
এমএইচ/জেআইএম