বিপিএলের প্রথমদিন মুখোমুখি হয়েছিলো দুই দল। ফরচুন বরিশালের কাছে ওই ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরেছিলো দূর্বার রাজশাহী। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৭ রান তুলেছিলো রাজশাহীর ব্যাটাররা।
Advertisement
সিলেট পর্বের প্রথমদিন আবারও এই দুই দল মুখোমুখি। এবারও ফরচুন বরিশালের কাছে হারলো দূর্বার রাজশাহী। তামিম ইকবাল আজ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নিজের আসল রূপ প্রকাশ করলেন। ৪৮ বলে খেললেন অপরাজিত ৮৬ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। তার ব্যাটেই দূর্বার রাজশাহীকে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর ব্যাটাররা ভলো ব্যাটিং করলেও, আজ এনামুল হক বিজয়দের ব্যাটে খুব রান তুলতে পারলো না। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৬৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল তারা। ফরচুন বরিশাল তামিম ইকবাল, কাইল মায়ার্স এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে ১৭.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয়।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই প্রিতম কুমারের (৩) উইকেট হারায় বরিশাল। কিন্তু তামিম আর কাইল মায়ার্স মিলে ৪১ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামলান। ১১ বলে ২৪ রান করে আউট হন কাইল মায়ার্স। এরপর তাওহিদ হৃদয় ব্যাট করতে নেমে আগের দুই ম্যাচের মত ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ১৪ বলে তিনি করেন ১৩ রান।
Advertisement
৯৩ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর জুটি গড়েন তামিম এবং মুশফিক। দুই বন্ধুর পুরনো সেই জুটির বন্ধুত্বই বরিশালকে ৭ উইকেটের জয় উপহার দিলো। তারা গড়ে তোলেন ৭৬ রানের অপরাজিত অনবদ্য এক জুটি। ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ৪৮ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতলেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হারিস ও জিসান আলমের উদ্বোধনী জুটি ছিল ৩০ রানের। ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান পাকিস্তানি ব্যাটার হারিস। জিসান আলম একটু ঝড় তুলেছিলেন। ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
এরপর এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বিও মাঝারি মানের জুটি গড়েন। ২৩ বলে ৩৭ রান করেন রাব্বি। বিজয় আউট হন ৩৯ রান করে।
শেষ দিকে রায়ান বার্ল ১১ বলে ১০ এবং আকবর আলী ৯ বলে ১৫ রান করলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস।
Advertisement
বরিশালের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও ফাহিম আশরাফ।
আইএইচএস/