বিএসসি কোর্সকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেওয়ার দাবিতে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ইউএনও, অধ্যক্ষসহ ১৫-১৬ জন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর তাদের অবরুদ্ধ করেন তারা। খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে নরসিংদী তাঁত বোর্ডে ছুটে যান নরসিংদী জেলা প্রশাসক রাশেদ হোসেন চৌধুরী। রাত পৌনে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অবরুদ্ধরা হলেন তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকী, তাঁত বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) আকরামুজ্জামান,প্রধান হিসাবরক্ষক এবং প্রকল্প পরিচালক সুকুমার চন্দ্র সাহা, প্রকল্প পরিচালক আইয়ুব আলী, ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মনজুরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (রক্ষণাবেক্ষণ) সাইফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা আলম, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা জাহান সরকার, নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল হকসহ ১৫-১৬ জন।
শিক্ষার্থীরা জানান, নরসিংদী তাঁত বোর্ডের বিএসসি কোর্সকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেওয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরইমধ্যে সোমবার দুপুরে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকী, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সচিব ও পরিচালকসহ (প্রশাসন) উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা করতে নরসিংদী তাঁত বোর্ড আসেন। সভা শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে দাবি তুলে ধরেন। এসময় দাবি পূরণে বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ একাধিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। খবর পেয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক রাশেদ হোসেন চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
Advertisement
স্বর্ণা আলম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, গত চার মাস ধরে আমরা বিএসসি কোর্সকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেওয়ার জন্য তাঁত বোর্ডের চেয়াম্যানের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি তারা আমাদের দাবি না মেনে উল্টো আমাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে নেওয়ার কথা বলেন।
শিক্ষার্থী কাউছারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কোনো শিক্ষক নেই। ল্যাব নেই। এমনকি ছয় বছর আগে কোর্সটি চালু হলেও আদৌ এই প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নতি হয়নি। যে কারণে আমরা বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে যেতে চাই। আমাদের দাবি না মানা পযর্ন্ত আমরা অবরুদ্ধ করে রাখবো।
রাত পৌনে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
সঞ্জিত সাহা/এসআর/এএসএম
Advertisement