যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জাপানি কোম্পানি নিপ্পন স্টিল এবং তাদের অংশীদার ইউএস স্টিল। কোম্পানিগুলোর অভিযোগ, ইউএস স্টিল অধিগ্রহণের চেষ্টায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার প্রশাসন অবৈধ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছে। এছাড়াও, প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ক্লিভল্যান্ড-ক্লিফস, তার প্রধান নির্বাহী লরেনসো গনক্যালভস ও ইউনাইটেড স্টিলওয়ার্কার্স (ইউএসডব্লিউ) ইউনিয়নের সভাপতির বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে তারা।
Advertisement
নিপ্পন স্টিল শুক্রবার বাইডেনের জারি করা সেই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যেখানে ইউএস স্টিল অধিগ্রহণ চুক্তি আটকে দেওয়া হয়। বাইডেনের আদেশকে বেআইনি উল্লেখ করে আদালতে আবেদন করা হয়েছে সিএফআইইউএস (কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস)-কে নতুন করে চুক্তিটি পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য।
নিপ্পন স্টিল অভিযোগ করেছে, দীর্ঘ পর্যালোচনার পরও সিএফআইইউএস তাদের কোনো যৌক্তিক সমাধানের প্রস্তাব দেয়নি এবং ন্যায্য প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
মামলায় দাবি করা হয়েছে, বাইডেন শ্রম ইউনিয়নগুলোর সমর্থন পাওয়ার জন্য এমন আদেশ জারি করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, বিশেষত ইউনাইটেড স্টিলওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
নিপ্পন স্টিলের মতে, প্রেসিডেন্টের আদেশ ‘আইনের শাসন লঙ্ঘন এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপব্যবহার’।
ক্লিভল্যান্ড-ক্লিফসের বিরুদ্ধে অভিযোগঅন্যদিকে, ক্লিভল্যান্ড-ক্লিফস এবং তাদের সিইও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা একটি প্রতিযোগিতা-বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্লিফস তাদের ‘মার্জ অথবা মার্ডার’ কৌশলের অংশ হিসেবে ইউএস স্টিলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
নিপ্পন স্টিল আরও বলেছে, ক্লিফস এবং ইউএসডব্লিউ বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে এবং তাদের চুক্তি আটকে দেওয়ার জন্য সরাসরি প্রভাব খাটিয়েছে।
Advertisement
জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাপান-যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
জানানি অর্থমন্ত্রী ইয়োজি মুটো এটিকে ‘দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে অভিহিত করেছেন।
নিপ্পন স্টিল জানিয়েছে, মঙ্গলবার টোকিওতে তারা এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করবে।
সূত্র: নিক্কেই এশিয়াকেএএ/