রাজধানীর বাড্ডা থেকে অপহৃত মো. সোহেলকে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. সাইফুর রহমান ওরফে সুমন (৪০) ।
Advertisement
পুলিশ জানায়, অপহৃত মো. সোহেল ও গ্রেফতার মো. সাইফুর রহমান ওরফে সুমন তুরাগ থানা এলাকায় বসবাস করেন। একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো।
রোববার (৪ জানুয়ারি) বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী সোহেল নিজ বাসা থেকে বের হন। এরপর মোটরসাইকেলে করে মধ্য বাড্ডা পোস্ট অফিস গলিতে পৌঁছালে মো. সাইফুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন দুষ্কৃতকারী তার পথ রোধ করে ভয়-ভীতি দেখান। এ সময় সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোনসহ তারা সোহলেকে অপহরণ করেন।
Advertisement
পরবর্তীতে রাত রাত সোয়া ৯টার দিকে মো. সাইফুর রহমান ভুক্তভোগীর বন্ধু জহিরুল ইসলামের কাছে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং মুক্তিপণের টাকা বিকাশের মাধ্যমে না দিলে অপহৃত সোহেলকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন
চিকিৎসক অপহরণের ঘটনায় মামলা, কারণ যা জানালো পুলিশএ ঘটনায় সোহেলের বড় ভাই মো. খোরশেদ আলম রানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করা হয়।
বাড্ডা থানার ওসি আরও বলেন, মামলা করার পর বাড্ডা থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত ব্যক্তি ও আসামির অবস্থান শনাক্ত করে।
Advertisement
এরপর ৪ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে মধ্য বাড্ডার বাজার গলি এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী সাইফুর রহমান ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করা হয় ও অপহৃত মো. সোহেলকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গ্রেফতার সাইফুরের কাছ থেকে অপহৃতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে যে মোবাইল ফোন থেকে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয়েছিল সেই মোবাইলফোনটিও জব্দ করা হয়।
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
টিটি/এসআইটি/এমএস