এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই ব্যাট ও বলের লড়াই জমে উঠেছে। ব্যাটাররা রান করছেন। চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছেন ডজনকে ডজন। অন্যদিকে বোলাররাও প্রায় ম্যাচেই বল হাতে জ্বলে উঠেছেন।
Advertisement
উইকেট শিকারে এখন পর্যন্ত সবার ওপরে তাসকিন আহমেদ। দল সুবিধা করতে না পারলেও দুর্বার রাজশাহীর উদ্বোধনী বোলার তাসকিন এরইমধ্যে ঢাকা ক্যাপিটালের বিপক্ষে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন রেকর্ডও গড়েছেন।
বিপিএলে এতকাল ৬ উইকেট দখলের কৃতিত্ব থাকলেও ৭ উইকেট ছিল না কোনো বোলারের। এবার সেই অধরা কৃতিত্ব স্থাপন করেছেন তাসকিন। ঢাকার বিপক্ষে ১৯ রানে ৭ উইকেট দখল করেছেন ডানহাতি পেস সেনসেশন। ফর্মের চূড়ায় থাকা এ ফাস্টবোলারের ঝুলিতে ৩ ম্যাচে জমা পড়েছে ১২ উইকেট। উইকেট শিকারে দ্বিতীয় স্থানটি ভিনদেশি ক্রিকেটার খুশদিল শাহর। মূলত ব্যাটার হলেও এবারের বিপিএলে বেশ সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং করে সমীহ আদায় করছেন তিনি। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা রংপুর রাইংডার্সের এই স্পিনারের উইকেট ৭টি।
উইকেট প্রাপ্তিতে সেরা পাঁচে থাকা এর পরের তিন বোলারই বাংলাদেশের। ওই ৩ জন হলেন- নাহিদ রানা, আবু হায়দার রনি ও অ্যালিস আল ইসলাম।
Advertisement
এর মধ্যে রংপুর রাইডার্সের ফাস্টবোলার নাহিদ রানার উইকেট ৬টি। তার সেরা বোলিং স্পেল ৪/২৭। একইভাবে খুলনা টাইগার্সের মিডিয়াম পেসার আবু হায়দার রনিও পেয়েছেন ৬ উইকেট। এ বাঁহাতি পেসারের সেরা বোলিং ৪/৪৪।
দুই দ্রুত গতির বোলার রানা ও আবু হায়দারের পাশাপাশি ৫ উইকেট শিকার করে পঞ্চম স্থানে আছেন আল ইসলাম। চিটাগং কিংসের এই বোলারের পাশাপাশি ৫ উইকেট শিকার করেছেন আরও একজন। তিনি শেখ মেহেদী। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২৭ রানে ৪ উইকেটের পতন ঘটিয়ে রংপুরকে গুরুত্বপূর্ণ জয় উপহার দিয়েছেন এ অফস্পিনার।
এছাড়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেটশিকারি আলাউদ্দীন বাবুর (ঢাকা ক্যাপিটাল) ঝুলিতেও আছে ৫ উইকেট। তার ঠিক পিছনেই আছেন খুলনা টাইগার্সের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ (৪টি)।
এছাড়া সমান ৩ উইকেট দখল করেছেন চিটাগং কিংসের আরাফাত সানি, রংপুর রাইডার্সের সাইফউদ্দীন, ঢাকা ক্যাপিটালের মোস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও রাজশাহীর হাসান মুরাদ।
Advertisement
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম