খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি প্যানেল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মহানগর এবং জেলাভিত্তিক কমিটির প্রক্রিয়া চলমান। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সমন্বয়ক বা ছাত্র প্রতিনিধি নেই’ এ সংক্রান্ত বিবৃতি জারির পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Advertisement
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ‘টিডাব্লিউও জিরো’ ব্যাচের ফেসবুক পেজে বলা হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি প্যানেল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
এদিকে ২১ ব্যাচের ফেসবুক পেজ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত একটি নোট প্যাডে বলা হয়, কোটা আন্দোলন শুরুর সময় থেকে বন্যা পরবর্তী সময়ে দেশের প্রয়োজনে সমন্বয়ক বা ছাত্র প্রতিনিধিসহ অনেকে নিয়োজিত ছিলেন যা প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এবং বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অরাজনৈতিক ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক বা ছাত্র প্রতিনিধির কোনো প্রয়োজনীয়তা না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ব্যক্তিকেন্দ্রিক কোনো পরিচয় এই ক্যাম্পাসে ছিল না, থাকবেও না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের একমাত্র পরিচয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিরা বলেন, আন্দোলনের পর শহর জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা কমানোর জন্য ১০ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছিল। বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগর এবং জেলাভিত্তিক কমিটির প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি প্যানেল বিলুপ্ত করা হয়েছে।
Advertisement
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আজিম ইসলাম জিম বলেন, আজ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সমন্বয়ক বা ছাত্র প্রতিনিধি নেই। এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি জারি করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি প্যানেল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে।
মো.আরিফুর রহমান/জেডএইচ/জেআইএম