আন্তর্জাতিক

নাজিব রাজাকের মুক্তি দাবিতে সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের মুক্তিকে ঘিরে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ওয়ান এমডিবি দুর্নীতির মামলায় কারাগারে বন্দি নাজিবের মুক্তির সমর্থনে এক সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন সরকারকে চাপের মুখে ফেলেছে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইস্তানা নেগারা (জাতীয় প্রাসাদ) থেকে দেওয়া নির্দেশনা পড়তে হবে, বুঝতে হবে এবং মেনে নিতে হবে।’ এসময় তিনি সব পক্ষকে সংবিধান এবং আইন অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান।

শুক্রবার দ্য সান ডেইলির খবরে বলা হয়, জাতীয় প্রাসাদও (ইস্তানা নেগারা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্ষমা, শাস্তি স্থগিত বা লাঘব করার একমাত্র অধিকার বর্তমান রাজা সুলতান ইব্রাহিমের। ক্ষমা বোর্ডের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২০১৮ সালের ওয়ান এমডিবি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালে নাজিব রাজাক ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২১০ মিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানার শাস্তি পান। পরে তার সাজা অর্ধেকে কমিয়ে জরিমানা ৫০ মিলিয়ন রিঙ্গিতে নামিয়ে আনা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুনকাজ শুরুর আগে মোনাজাত, বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা মালয়দের মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে পাসপোর্ট সেবাদানের উদ্যোগ হাইকমিশনের 

তবে নাজিব রাজাক দাবি করেছেন, সাবেক রাজা সুলতান আবদুল্লাহ তাকে বাকি সাজা গৃহবন্দি হিসেবে কাটানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। তবে কুয়ালালামপুর উচ্চ আদালত এই দাবিকে গুজব আখ্যা দিয়ে খারিজ করেছেন। নাজিব এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

নাজিবের সমর্থনে উম্নো এবং প্রধান বিরোধীদল পাস একত্রিত হয়ে আগামী সোমবার আদালতের বাইরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিরোধী নেতা লিম গুয়ান ইং সমাবেশের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

পাস নেতারা এই সমাবেশকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেই আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে।

মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে এই সমাবেশ এবং ক্ষমা ইস্যু আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে। এটি সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Advertisement

কেএসআর/