মেলবোর্নে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলেন সে ম্যাচে থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকা শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
Advertisement
স্নিকো মিটারের তথ্য নাকচ করে ভারতীয় ব্যাটার জয়সওয়ালকে আউট দিয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা। ভারতীয় সমর্থকরা তারপর থেকেই বাংলাদেশি এই আম্পায়ারের ওপর ক্ষিপ্ত। যদিও রবি শাস্ত্রীর মতো ক্রিকেটবোদ্ধা শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্তকেই সঠিক বলেছেন। পক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই।
তারপরও শরফুদ্দৌলা বেশ চাপে রয়েছেন। সিডনিতে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে আরও বড় দায়িত্বে, ফিল্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় আছেন তিনি।
সিডনিতে পঞ্চম টেস্টের শুরুতেই জমজমাট নাটক। এবার বিরাট কোহলিকে আউট না দিয়ে আলোচনায় এসেছে শরফুদ্দৌলা। তার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া। সেখানে আরেক নাটক।
Advertisement
ম্যাচের অষ্টম ওভারে বিরাট কোহলি ব্যাটিং করছিলেন। তখন স্কট বোল্যান্ডের অফস্টাম্পের একটি বলে ফের একবার অন্যান্য টেস্টের মতোই ব্যাট ছুঁইয়ে ফেলেন কোহলি। এরপর বল স্লিপের দিকে চলে যায়। এটা এই টেস্টে বিরাট কোহলির প্রথম বল ছিল। অর্থাৎ প্রথম বল খেলতে এসেই তিনি চেনা ভুলই করে বসেছিলেন।স্কট বোল্যান্ডের গুড লেন্থ এরিয়ার বলে কোহলি ব্যাট ছোঁয়ান। বলের বাউন্স অতিরিক্ত থাকায় বিরাট তা সামলাতে পারেননি। শেষে তিনি ব্যাট সরিয়ে নিতে পারেননি। বল দ্বিতীয় স্লিপের দিকে যেতেই স্টিভ স্মিথ শরীর ছুঁড়ে দিয়ে ক্যাচ নিতে যান। এক হাতে ক্যাচ নিতে নিতেই তিনি বলটা ওপরে ছুঁড়ে দেন। এরপর চতুর্থ স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা মার্নাস ল্যাবুশান সেই ক্যাচ নিয়ে নেন।
অস্ট্রেলিয়ানরা সকলেই আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন জানান। কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা আউট না দিয়ে পাশের আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন সিদ্ধান্ত।
তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসন খতিয়ে দেখে নটআউটের নির্দেশ দেন। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি বলের নিচে আঙুল রয়েছে, আরেকটা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখতে চাইব, যে বল মাটিতে ঠেকেছে কিনা’। এরপরই অন্যদিক থেকে ছবি দেখে উইলসন বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, বল মাটিতে লাগছে। আর কি কোনও অ্যাঙ্গেল আছে? স্মিথের আঙুল রয়েছে বলের নিচে, তবে বল মাটিতে ঠেকেছে। আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাব, নট আউট ’।
আম্পায়ার জোয়েল উইলসনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কোহলির ক্যাচ নেওয়া স্টিভ স্মিথ। ম্যাচের বিরতির সময় স্মিথকে ধারাভাষ্যকার ইশা গুহ প্রশ্ন করেন, বিরাটের ক্যাচটি তিনি ঠিক মতো নিয়েছিলেন কিনা। এরপরই স্মিথ বলেন, ‘১০০ শতাংশ নিশ্চিত আমি ক্যাচটা নিয়েছি। একদম ১০০ শতাংশ। কিন্তু আম্পায়ার যখন বলেছে, সেই সিদ্ধান্তই আমরা মেনে নিয়েছি।’
Advertisement
এমএমআর/এমএস