পেঁয়াজের ভরা মৌসুমেও টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সার পাচ্ছেন না কৃষকরা। কোথাও পেলেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এ চিত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। অথচ এক লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীর গুদামে মিললো প্রায় ২০০ বস্তা সার।
Advertisement
এসময় লাইসেন্সবিহীন সার মজুত করার অপরাধে ওই ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মজুত করে রাখা এসব সার ন্যায্যমূল্যে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের গদের বাজার এলাকায় এ অভিযান চালায় প্রশাসন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।
আদালত পরিচালনায় সহযোগিতায় করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ও থানার পুলিশ।
Advertisement
জরিমানা করা ওই ব্যবসায়ীর নাম জাকির হোসেন (৪১)। তিনি গদের বাজার এলাকার মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষকরা জানান, এখন পেঁয়াজের চারা রোপণের মৌসুম চলছে। তবে নন ইউরিয়া সারের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। নিবন্ধিত ডিলাররা পরিমিত সার দিচ্ছেন না। আর অনিবন্ধিত ব্যবসায়ীরা সার মজুত করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন।
কৃষকদের ভাষ্য, ১৩৫০ টাকা মূল্যের ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সার কিনতে হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকায়, ১০৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা এমওপি সার কিনতে হচ্ছে ১১৫০-১২০০ টাকায়। আর ১০৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা ডিএপি সার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ টাকায়।
সার বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, কৃষকদের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশি দামে সার কিনেছেন। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লোকসান হবে।
Advertisement
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, বছরজুড়ে ভালো দাম থাকায় এবছর পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি বছর এ উপজেলায় চার হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কিছুটা সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়া সার মজুত করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আল-মামুন সাগর/এসআর/জেআইএম