খেলাধুলা

ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ভোগান্তি, আশ্বাস বিসিবি সভাপতির

বিতর্ক, অদ্ভুত সব ঘটনা, অব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে অনিয়ম-সেই শুরু থেকে এগুলো ‘বিপিএলের’ সাথে জড়িয়ে আছে। সময়ের প্রবাহতায় কিছু কিছু জায়গায় উন্নতি হয়েছে। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ভোগান্তি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ও মালিকপক্ষের কাছে ধরনা দেওয়া, ছুটোছুটি করে হাঁপিয়ে ওঠা মাঝে কয়েক বছর মোটামুটি কমেছিল অনেকটাই। ২০১৭-১৮ মৌসুমের পর বিসিবি থেকে পেমেন্টের একটা সিস্টেম তৈরি করার পর এসব নিয়ে অনিয়ম ও ভোগান্তি অনেকটাই কমে যায়।

Advertisement

সেই বেঁধে দেওয়া প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্লেয়ার্স ড্রাফটের পরপর ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পাওনা পরিশোধের নিয়ম করে দেওয়া হয়। আসর শুরুর পর খেলা চলাকালীন বাকি ৫০ শতাংমের ২৫ শতাংশ পরিশোধের বিধান করা হয়। খেলা শেষ হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাওনা ২৫ শতাংশ পরিশোধের কথাও বলে দেওয়া হয়। সেই নিয়ম অনসুরণ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মোটামুটি পেমেন্ট করেছে।

তারপরও ফাঁক-ফোকর ছিল। আছেও। এই যেমন আগেরবারের পেমেন্ট পাননি কজন বিদেশি ক্রিকেটারও। দক্ষিণ আফ্রিকান লেগস্পিনার ইমরান তাহির এখনও রংপুরের কাছে টাকা পান। মনের দুঃখ ও ক্ষোভে ফেসবুকে নিজের পাওনা না পাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তাহির। এবার বিপিএল শুরুর আগে পেমেন্ট নিয়ে হইচই না হলেও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের যে ৫০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট অগ্রিম পাওয়ার কথা, তার এক টাকাও পাননি কেউ। জানা গেছে, একজন ক্রিকেটার ৫০ শতাংশ তো দূরে, কোনো অর্থ না পেয়েই নাকি বিপিএল খেলতে নেমেছেন। পেমেন্ট না দেওয়ার পাশাপাশি এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ব্যাংক গ্যারান্টিও দেয়নি। আজ সে স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে কথা বলেন বিসিবিপ্রধান ফারুক আহমেদ। কথা শুনে মনে হচ্ছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ব্যাংক গ্যারান্টি না দেওয়ায় চরম হতাশ বিসিবি সভাপতি।

কেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি বিগ বস জানান, প্রতিদিন একদম ডে ওয়ান থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে যে, টাকাটা দিতে হবে। যেভাবে আমরা গিয়েছি। আসলে আপনি যদি একদম ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট চিন্তা করেন; এটা হয় না কেন, এই উত্তর কিন্তু আমি এককথায় দিতে পারব না।’ তবে নিয়ম মেনে আসর শুরুর আগে পাওনার অর্ধেক ডাউন পেমেন্ট দেওয়া হয়নি বলেই যে ক্রিকেটাররা অর্থ পাবেন না, তা নিয়ে সেভাবে চিন্তিত ও শঙ্কিত নন বিসিবি সভাপতি। বরং ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করেন তিনি।

Advertisement

ফারুক জানান, তিনি নিজে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে কথা বলছেন এবং ক্রিকেটারদের পাওনা পেতে কার্যকর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘গত চার মাসের সিচুয়েশন দেখতে হবে আমার সবার দিক থেকেই। এর মানে এই নয় যে, প্লেয়াররা পয়সা পাবে না। আলাদা পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছি। কিছু করার চেষ্টা করছি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য, যাতে ফিল না করে বোর্ড শুধু দেখবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। তারা কিন্তু আমাদের পার্টনার। তারা কিন্তু টাকা খরচ করছে ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য।’

এআরবি/এমএমআর/জিকেএস

Advertisement