খেলাধুলা

পাপনের পতন, সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ও দেশের বাইরে টেস্টে অন্য বাংলাদেশ

ক্যালেন্ডারের পাতা ঝরে বিদায় নিলো ২০২৪। উঠেছে নতুন বছরের নতুন সূর্য। নব প্রত্যাশায় শুরু হয়েছে ২০২৫। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত গোটা বিশ্ব। পাশাপাশি চলছে ফেলে আসা বছরের হিসাব-নিকেশও। কেমন কাটলো ২০২৪?

Advertisement

খেলাপ্রেমী, বিশেষ করে ক্রিকেট অনুরাগীরা পেছন ফিরে দেখছেন, ভাবছেন আর মেলাচ্ছেন গত এক বছরে কী কী হলো। কৌতুহল মেটাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরাও এখন স্মৃতির আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে।

সাফলতা না ব্যর্থতা-কোন পাল্লা ভারি ছিল? চাওয়া-পাওয়ার কতটা পূরণ হলো? এমন কোনো সাফল্য আছে, যাকে ঘিরে বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে? মাঠের পারফরম্যান্সের চুলচেড়া বিশ্লেষণ করলে তেমন আহামরি কোনো সাফল্য নেই; যা দিয়ে বলা যাবে ২০২৪ ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্মরণীয় বছর।

বড় কিছু না থাকলেও ২০২৪ সাল নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বছর। এক অন্যরকম বৈশিষ্ট্যে বলীয়ান।

Advertisement

২০০০ সালে টেস্ট খেলা শুরু করা বাংলাদেশ ২০২৪-এ এসে টেস্ট ক্রিকেটের দুই যুগ পূর্তি উদযাপন করেছে। একইভাবে ১৯৯৯ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে গত বছর। কিন্তু এই দুই ফরম্যাটের কোনোটিতেই বলার মতো সাফল্য নেই।

অনেক টেস্ট খেলুড়ে দেশের ইতিহাসে কিছু স্মরণীয় বছর আছে, যেগুলো সোনালি সাফল্যে মোড়ানো; সেই দেশগুলোর ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় বছর। যেমন, ১৯৮৩ সাল ছিল ভারতের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ বিজয়ের বছর। তারপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারত আরও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

কিন্তু কপিল দেবের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ বিজয়ের ঘটনাই ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কাজেই ১৯৮৩ সাল ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

একইভাবে ১৯৯২ সাল পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় বছর হিসেবে পরিগণিত। কারণ, সেবারই ইমরান খানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ বিজয়ী হয় পাকিস্তান। ১৯৯৬ সাল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সবচেয়ে গৌরবউজ্জ্বল সাফল্যে রাঙ্গানো। ওই বছর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।

Advertisement

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কোনো স্মরণীয় বছর আসেনি। ২০২৪ সালেও মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এমন কোনো সাফল্যের মুখ দেখেনি, যা দিয়ে বছরটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

তবে ২০২৪ সালে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সব মিলে খারাপ খেলেনি বাংলাদেশ। বড়সড় সাফল্য না পেলেও সদসমাপ্ত বছর একটা নতুন বার্তা মিলেছে। তা হলো- বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে কিছুই পারে না; শুধুই হারে- এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ টেস্টে জিততে শিখেছে। আর টি-টোয়েন্টি জেতার ফর্মুলাটা দিনকে দিন আত্মস্থ করতেও শিখেছে। ব্যাটাররা তেমন নৈপুণ্যের ঝিলিক উপহার দিতে না পারলেও; বোলাররা, বিশেষ করে পেসাররা, দেশের বাইরে বোলিং কারিশমায় টেস্ট জেতানোর সামর্থ্য দেখিয়েছেন।

পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভালো দলের মতো টিম পারফরম্যান্স দেখিয়ে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। এটাই ২০২৪ সালের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

তবে হ্যাঁ, মাঠের বাইরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাই স্মরণীয় করে রাখবে ২০২৪ সালকে। ভাবছেন কী সেই ঘটনা? একটু চিন্তা করলেই মাথায় চলে আসার কথা। সেটা হলো- ২০২৪ সাল নাজমুল হাসান পাপনের পতনের বছর।

পাপনের পতন ও ফারুকের আগমন

বাংলাদেশের ক্রিকেটের শীর্ষ কর্তা ও নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠা বিসিবির সাবেক সভাপতি পাপন উপাখ্যান শেষ হয়েছে গেল বছর আগস্টে। বলার অপেক্ষা রাখে না, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ও বিদায়ের মধ্য দিয়ে বিদায় ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। দুই সহস্রাধিক তরুণ প্রাণের বিনিময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনায় এসেছে নতুন সরকার।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হওয়ার পর দেশে পরিবর্তনের পালা সূচিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ক্রিকেট বোর্ড ব্যবস্থাপনায় এসেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। ২০১২ থেকে ২০২৪- একটানা ১২ বছর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের প্রধান হিসেবে থাকার পাশাপাশি দেশের ক্রিকেটের হর্তা-কর্তা হয়ে দেখা দেওয়া পাপনও হয়েছেন পদচ্যুত।

পাপনের বদলে নতুন বোর্ড সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ হয়েছেন দেশের ক্রিকেটের প্রধান অভিভাবক।

সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অন্য সব ক্ষেত্রের মতো বিসিবিতে এসেছে পরিবর্তনের পালা। শেখ হাসিনার স্নেহধন্য, পারিবারিকভাবে কাছের পাপন একা নন- আওয়ামী লিগের এমপি, ভক্ত, সমর্থক, অনুরাগী সবাই বোর্ডের বাইরে চলে গেছেন। যারা ছিলেন বোর্ডের হর্তা-কর্তা। সবাই নিজ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বোর্ড পরিচালক হয়ে সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। দেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের শিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিমও বোর্ড পরিচালক হয়েছেন। ২৫ জনের বোর্ড ছোট হয়ে ১০ জনে নেমে এসেছে। ফাহিমের সঙ্গে আছেন আরও ৮ পুরোনো পরিচালক।

পাপন অধ্যায় শেষ হওয়া ও ফারুক আহমেদের বিসিবির নতুন বিসিবি হওয়াই আসলে গত বছর দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ও আলোড়িত ঘটনা।

সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞা

১৮ বছরের ক্যারিয়ারের শেষদিকে এসে সাকিব আল হাসানের বোলিং প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া এবং ইংলিশ কাউন্টি ও পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। সাকিব এমনিতেই জাতীয় দলের বাইরে চলে গেছেন, এর মধ্যে তার বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এমনকি দেশের বাইরের লিগেও শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে দেখা গেছে সাকিবকে।

জনরোষের শিকার মাশরাফি-সাকিব

দেশের ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের জনরোষের শিকার হওয়াটাও অন্যরকম ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন মাশরাফি ও সাকিব। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষও ছিলেন তারা।

হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক রোষের কারণে মাশরাফির বাড়িতে হামলা হয়েছে। তার নড়াইলের বাসায় অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। আর দেশের ক্রিকেটের এক সময়ের অপরিহার্য সদস্য হয়ে ওঠা সাকিব জনতার ক্ষোভের কারণ হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও এখন কঠিন। ফর্মে আছেন, অবসরও নেননি। খেলার অবস্থায় থেকেও জাতীয় দলে নেই ‘চ্যাম্পিয়ন’ সাকিব। এটাও ২০২৪ সালের আলোচিত ঘটনার অন্যতম।

বিদেশে টেস্ট জয় ও টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য

জয়-পরাজয়কে মানদণ্ড ধরলে গত বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটে কিছু নতুন ধারার সংযোজন ঘটেছে। এতকাল জানা ছিল বাংলাদেশ ওয়ানডেতে মোটামুটি ভালো খেলে। মাঠের চালচিত্র ও পরিসংখ্যানও সেটাই জানাচ্ছিল। ৫০ ওভারের খেলায় বাংলাদেশ মোটামুটি ভালো। যে কারণে ওয়ানডেতে জয়ের পাল্লাও ভারি টাইগারদের। কিন্তু সে তুলনায় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ও পরিসংখ্যান তত সমৃদ্ধ, উজ্জ্বল ছিল না।

কিন্তু ২০২৪ সালে সে ধারার খানিক ব্যত্যয় ঘটেছে। এ বছর বাংলাদেশ জাতীয় দল ওয়ানডের তুলনায় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তুলনামুলক ভালো করেছে।

গেল বছর ১০ টেস্ট খেলে ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ২টি পাকিস্তানের বিপক্ষে, ১টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ৩টিই বিদেশের মাটিতে। টেস্টে টাইগারদের ২০২৪ শুরু হয়েছিল নিজ মাটিতে। মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানের বিশাল হার দিয়ে ২০২৪ সালের যাত্রা শুরু করেছিল টাইগাররা। আর বছর শেষ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জ্যামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্কে দুর্দান্ত টিম ওয়ার্কে ১০১ রানের জয়ে।

মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজে হার দিয়ে বছর শুরু হলেও ৫ মাস পর আগস্টে পাকিস্তানের সঙ্গে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ উইকেট ও ৬ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানিদের তাদেরই মাটিতে সিরিজে ধবলধোলাই (২-০) করে বাংলাদেশ। এটাই গত বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে পরিগণিত। সেপ্টেম্বরে ভারতের মাটিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় টিম বাংলাদেশ। চেন্নাইতে ২৮০ রানে আর কানপুরে ৭ উইকেটে পরাজিত হয় টাইগাররা। এই সিরিজের ঠিক এক মাস পর অক্টোবরে নিজ মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও ঘরের মাঠে পর্যুদস্ত হয় বাংলাদেশ। শেরে বাংলায় ৭ উইকেটে এবং চট্টগ্রামে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হার মানে টাইগাররা।

সর্বশেষ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে দেখা মেলে এক অন্য বাংলাদেশের। নভেম্বরে অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে ব্যাট ও বলে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ২০১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। কিন্তু জ্যামাইকার কিংস্টনে ঠিক পরের টেস্টেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০১ রানের জয় পায় টাইগাররা।

পারফরম্যান্স ও ফল বিবেচনায় পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে শেষ টেস্টটি ২০২৪ সালকে সোনালি সাফল্যে রাঙিয়ে রেখেছে। গত ২৪ বছরে এমন চমৎকার টিম পারফরম্যান্স ও সোনালি সাফল্যে ৩টি জয় এক বছরে পায়নি বাংলাদেশ। দেশের বাইরে টেস্টে এই ৩ জয়ের সঙ্গে এশিয়ার বাইরে ২ বছর আগে (২০২২ সালের জানুয়ারিতে) মাউন্ট মুঙ্গানিয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়টার সাথেই কেবল তুলনা চলে।

তবে বাংলাদেশ শুরু থেকেই যে ফরম্যাটে ভালো খেলে, সেই ওয়ানডেতে গত বছর তেমন ভালো কাটেনি। ২০২৪ সালে ৯ ওয়ানডে খেলে মাত্র ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। অথচ শুরতে দারুণ এক বছরের আভাস মিলেছিল। বছর শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২-১ এ সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে। মার্চে ঘরের মাঠে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ৬ উইকেট ও ৪ উইকেটে জয়ের বিপরীতে মাঝখানের ওয়ানডে লঙ্কানরা জিতেছিল ৩ উইকেটে।

তারপর সারা বছরে আর মাত্র একটি জয় ধরা দেয় বাংলাদেশের কাছে। সেটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজায়। আরব আমিরাতের মরু উদ্যানে হওয়া তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬৮ রানে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে ৯২ রানের জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু ১-১ অবস্থায় শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হারে ভাঙে সিরিজ বিজয়ের স্বপ্ন।

এরপর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। যথাক্রমে ৫, ৭ ও ৪ উইকেটে হার থেকেছে সঙ্গী হয়ে।

তুলনামুলকভাবে ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো সময় কাটে বাংলাদেশের এ বছর ২৪ ম্যাচে টাইগাররা জিতেছে ১২টিতে। এর মধ্যে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আছে ৪ জয়। চট্টগ্রাম ও মিরপুরে হওয়া ৫ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ৪ ওয়ানডেতে ৮ উইকেট, ৬ উইকেট, ৯ ও ৫ রানে জেতার পর শেষ ম্যাচে গিয়ে ৮ উইকেটে হেরে বসে টাইগাররা।

তারপর জুনে যুক্তরাষ্ট্র আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান (৮ রানে), ভারত (৫০ রান) এবং অস্ট্রেলিয়ার (২৮ রানে) কাছে হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা (৪ রান), নেপাল (২১ রান), নেদারল্যান্ডস (২৫ রান), শ্রীলঙ্কা (২ উইকেট ) ও যুক্তরাষ্ট্রকে (১০ উইকেটে) হারায় টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের যেকোনো বিশ্বকাপে এটা বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।

এর বাইরে ২৪ সালটি যুব দল (অনূর্ধ্ব-১৯) ও নারী ক্রিকেটেও সাফল্যের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। কোনো বিশ্ব আসরে সাফল্যের দেখা না মিললেও মহাদেশীয় ক্রিকেটে যুবারা শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। ডিসেম্বরে আরব আমিরাতের মাটিতে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে যুবাদের ক্রিকেটে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ, হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।

এআরবি/এমএইচ/এমএমআর/এমএস