আইন-আদালত

কক্সবাজারে বিশ্ব ইজতেমা করতে লিগ্যাল নোটিশ

টঙ্গীর নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর স্থান থেকে পরিবর্তন করে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা কক্সবাজারে আয়োজন করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

একই সঙ্গে মাওলানা সাদ ও মাওলানা জোবায়ের গ্রুপের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে তাবলিগের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে কাকরাইল মার্কাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগের দাবিও জানানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।

সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ ৪১ বাস্তবায়নে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নোটিশ পাঠান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

নোটিশে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি, রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বাংলাদেশ জাতীয় তাবলিগ মার্কাজ মসজিদের খতিব ও শুরা সদস্য এবং ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে বিবাদী করা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া ভারতে মাওলানা সাদ কান্ধলভির কাছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ ৪১ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ধর্ম প্রচারের অধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে তাবলীগ ইসলাম ধর্ম প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। তাবলীগের মৌলিক কাজ হলো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে ইসলাম ধর্মের বাণী পৌঁছে দেওয়া এবং মানুষকে ধর্মের প্রতি আহ্বান জানানো। যারা তাবলীগের কাজে জড়িত তারা তাদের নিজেদের অর্থ ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে মানুষের কাছে ইসলাম ধর্মের বাণী পৌছে দিয়ে থাকেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, তাবলিগের কার্যক্রম যেহেতু ধর্ম প্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং সরাসরি সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ ৪১ এর সঙ্গে সংযুক্ত, তাই সরকারকে এ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে ।

বর্তমানে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সরকারকে অবশ্যই তাবলীগের শুরার (কমিটির) ওপর প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে এবং তাবলীগের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরকারের প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশের তাবলীগের কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে ।

Advertisement

এছাড়া নোটিশে আরও দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশে অবশ্যই তাবলীগের একটি বিশ্ব ইজতেমা করতে হবে । বিশ্ব ইজতেমার স্থান টঙ্গীর নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর স্থান থেকে পরিবর্তন করে কক্সবাজারে আয়োজন করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে সারাবিশ্ব থেকে ২০ থেকে ৩০ লাখ বিদেশি মেহমানদের আসা নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে ।

নোটিশ পাওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ ৪১ বাস্তবায়নে কাকরাইল মার্কাজ মসজিদে তাবলীগের শুরা কমিটির ওপর সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা এবং কক্সবাজারে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যাবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে।

এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম