জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সমাবেশ ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে সেখানে। জুলাই আন্দোলনে হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু হয়। শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি সম্বলিত বিভিন্ন স্লোগান ব্যানারে লিখেছেন তারা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ছাত্র-জনতা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কেন্দীয় শহীদ মিনারে সমবেত হন।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার হাত ধরে চব্বিশ সালে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে। আজ বিপ্লবীদের মিলনমেলা। আমরা একতাবদ্ধ এটা প্রমাণ করতেই শহীদ মিনারে হাজির হয়েছি। ছাত্র-জনতার হাত ধরে আসা এই স্বাধীনতার মাধ্যমে দেশটাকে নতুন করে গড়তে চাই।
অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ শাহরিয়ারের বাবা মো.আবুল হাসানের বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার ছেলে মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমাদের এখানে অনেক শহীদ পরিবার আছে এবং আহত পরিবারও আছে। আমার ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়তো। খুনি হাসিনা পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। খুনি হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদসহ হেলমেট বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমি চাই এই খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হোক। আমরা কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। যদি এই খুনিদের বিচার না করা হয় আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। আমাদের রাস্তায় নামাবেন না। আমরা চাই আমাদের সন্তান হত্যার বিচার করুন।
Advertisement
আরও পড়ুন:
শহীদ মিনারে বিপ্লবীদের জনস্রোত শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘিরে ট্রাফিক নির্দেশনা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে সরকার, শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটিকেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশের মঞ্চে, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে’, ‘একটা একটা খুনি ধর, ধইরা ধইরা বিচার কর’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’ স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এনএস/এসএনআর/এমএস
Advertisement