খেলাধুলা

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে শামীমের লড়াই, তবু খুলনার কাছে হার চট্টগ্রামের

২০৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৫ রানে নেই ৮ উইকেট। ম্যাচটা আদতে শেষ তখনই। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক লড়াই করলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ২৩ বলে হাঁকালেন ফিফটি। দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন প্রাণপনে।

Advertisement

পারলেন না শামীম। তার ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংসটি গেলো বিফলে। চট্টগ্রাম কিংসকে ৩৭ রানে হারালো খুলনা টাইগার্স।

নাইম ইসলাম (৯ বলে ১২), পারভেজ হোসেন ইমন (৮ বলে ১৩), উসমান খান (১৫ বলে ১৮), মোহাম্মদ মিঠুন (৭ বলে ৬), হায়দার আলিরা (২ বলে ০) একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ক্রিজ ছাড়েন।

দলের চরম বিপদের মুখে হাল ধরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। নবম উইকেটে লোয়ার অর্ডারের আলিস আল ইসলামকে নিয়ে বলতে গেলে একক লড়াইয়ে ৪৭ বলে ৭৭ রান যোগ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। চট্টগ্রাম কিংসের ইতিহাসে এই উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

Advertisement

৩৮ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় ৭৮ রান করা শামীমকে অবশেষে ১৯তম ওভারে ফেরান আবু হায়দার। ওই ওভারেই ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম।

খুলনার পেসার আবু হায়দার রনি ৪ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪৪ রান।

এর আগে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ইনিংসে হাঁকালেন ৬ ছক্কা। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে পেসার শরিফুল ইসলামকেই তিনটি। ১৮ বলে ফিফটিও তুলে নিলেন। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারের ২২ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংসে ভর করেই ৪ উইকেটে ২০৩ রানের পাহাড় গড়ে খুলনা টাইগার্স।

মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে খুলনা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চিটাগং কিংস অধিনায়ক। এক পর্যায়ে ৪ উইকেটে ১১৭ রান ছিল খুলনার।

Advertisement

১৭ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ২৬ রান করে আউট হন নাইম শেখ। ওয়ান ডাউনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ বলে ১৮ করে সাজঘরে ফেরেন খুলনা অধিনায়ক।

এরপর ইব্রাহিম জাদরান ৭ বলে ৬ আর আফিফ হোসেন ৭ বলে ৮ করে ফিরলে চাপে পড়ে খুলনা। সেখান থেকে উইলিয়াম বসিস্তু আর মাহিদুল অঙ্কনের ৩৫ বলে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

বসিস্তু ৫০ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় করেন হার না মানা ৭৫ রান। ২২ বলে ১ চার, ৬ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন মাহিদুল।

আলিস আল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। খালেদ আহমেদ ২ উইকেট শিকার করতে খরচ করেন ৪৫। আর শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এমএমআর/এমএস