বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশে সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ এই তথ্য জানিয়েছে।রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি হোটেলে অ্যাকর্ডের তৃতীয় বর্ষপূতি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ।তিন বছরে সংগঠনটির অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৫০টি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ টি নতুন তালিকাভুক্ত কারখানায় পরিদর্শন চলমান রয়েছে। এছাড়া ৫৬ শতাংশ কারখানায় সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো এখন আগের তুলনায় অনেকটাই নিরাপদ। রেজিস্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে এমন প্রায় ৬৫টি তালিকাভুক্ত কারখানায় সফলভাবে পরীক্ষামূলক সেইফটি কমিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে অ্যাকর্ড। এখন অ্যাকর্ড তার আওতাধীন কারখানাগুলোতে বৃহৎ পরিসরে সেইফটি কমিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রেমিডিয়েশন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্ট কেস হ্যান্ডলার-এর টিম লিডার মো. নাজমুস সাঈদ শরণ, লিড ইঞ্জিনিয়ার (ফায়ার সেফটি) মো. কামরুজ্জামান, ট্রেইনিং কোয়ালিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস ম্যানেজার রুশদিনা খান প্রমুখ।প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বরে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপর ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে হাজারের বেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।পোশাক শিল্পে ওই দুই দুর্ঘটনার পরই অ্যাকর্ড গঠন করে পশ্চিমা ক্রেতারা। ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি কারখানা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।এসআই/এমএমজেড/পিআর
Advertisement