প্রতারণার শিকার অভিবাসীদের সহায়তা দিতে বিএমইটি সরেজমিনে (ম্যানুয়াল) অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে। ২০২৪ সালে এরকম ৪ হাজার ৯৩৪টি অভিযোগ গ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব অভিযোগের ৯২ দশমিক ৯১ শতাংশ পুরুষ কর্মীর এবং বাকি ৭ দশমিক ৯ শতাংশ নারী কর্মীর কাছ থেকে এসেছে।
Advertisement
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি- প্রকৃতি ২০২৪’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রতিবছরই অভিবাসন খাত বিশ্লেষণ করে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করে রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, এই বছরে অভিযোগগুলোর মধ্য থেকে ১,৬৫৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী এবং তাদের পরিবার প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, যেখানে একজন অভিবাসীকর্মী ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে যান সেখানে কর্মীপ্রতি গড়ে ৩২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রামরুর কারিগরি সহায়তায় বিএমইটি অনলাইনেও অভিযোগ গ্রহণ করতো। ফলে অভিযোগের সংখ্যাও থাকতো অনেক। ২০১৮ সালে বিএমইটি অনলাইন অভিযোগের কাজটি বন্ধ করে দেয়। যার ফলে অভিযোগের সংখ্যাও কমে আসছে।
Advertisement
আরএএস/এমকেআর/জেআইএম