আমি সেই দরিদ্র বালক-বালিকারকতা কই—ধানকাডা হেমন্ত চকের মইধ্যেইঁদুরের লুকিয়ে রাহা ধানছড়া খুঁজে খুঁজেহবার কতা কই—শরীল সম্পর্কে আজোসচেতন হয়নি সেই কিশোরীর স্বপ্নেরকতা কই—আত, পায় মাডি ভরা ইঁদুরেরচুরি করা ঢোকানো গর্তে আতের কতাধানভরা ধামার কতা—সাম্যবাদপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আত ও মেধার যৌথপ্রয়োগের কতা কই—
Advertisement
****
বিমূর্ত সুন্দরনিশ্বাস বন্ধ করে শুয়ে আছো—বীণাটি তোমার পাশে, ঝুঁকে চিরকালনশ্বর দৃষ্টির বাহিরে পথের আবেগ চুষেঅবিকল—মৃত্যুর মতো, হাত দুটিদুদিকে ছড়ানো; কী অতল অভিমানেপৃথিবীর থেকে ফিরিয়ে চোখবিবর্ণ নক্ষত্রের দিকে অপলককী দেখছো অসীম আলোর ওপাড়েচৈতন্য সত্তার কাছে সমর্পিতগন্তব্য কল্পনা—বিমূর্ত সুন্দর?
****
Advertisement
মুখটা সরাও বন্ধুু, দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে, গলগলে মিথ্যার প্রশ্রয়ে পার্থক্য নেই নর্দমার সাথে, উগরে দিচ্ছে বিষ; অথচ মানুষ আজ মুক্তি চায় মিথ্যার চাষাবাদ থেকে, উৎস মুখ যে বিভ্রান্তি ছড়ায়, কথা প্রকাশের কূট কৌশল আর অতিকথন দোষে দূষিত আজ ওষধি মানুষ, সম্ভাবনাময় পবিত্র তুমি, অথচ মুখের কী অপব্যবহার দেখ! মুখ্য পায়ূপথ—ঝগড়ায় পঞ্চমুখ।
কী দেবে আর? গান ও চুম্বনের পবিত্রঅনুভূতির উৎসস্থল আজ ইহজাগতিকতারনামে ছড়ায় বিষ, সস্তা ভাবালু দৃষ্টিমানুষকে মূর্খ বানাতে যথেষ্ট; ছড়াতেবিদ্বেষ, বিষ, ব্যবহৃত যে মুখঅপব্যবহারে নষ্ট করোনা প্রকৃতির মহৎ সৃষ্টি; ও মুখে লুকানো আজ বিষ, অথচ অভ্যস্ত ছিল গাইতে যে গান, একদিন বলতো যে ভালোবাসার মত মহৎ কবিতা, উচ্চারিত হতো প্রথম প্রণব নাদ—বলত যে সুন্দর, শুধু গানের জন্যই ছিল যে প্রস্তুত, অপমৃত্যু অপঘাত তার আজ—অথচ কী সুন্দর, সুডৌল ছিল ও মুখ!
****
মোরা ক’জন মুক্তিযোদ্ধাআমরা ক’জন মুক্তিযোদ্ধারক্তবীজের বংশধর—রণাঙ্গনে ছিলাম মোরাউষ্ণ রক্তস্বর;জীবন ছিল হাতের মুঠায়যুদ্ধ জয়ের অঙ্গীকার—ভাঙতে শেকল মায়ের পায়েরযুদ্ধ জয়ে নিরন্তর;প্রিয়ার কপোল ছুঁয়ে দিয়েস্বাধীন দেশের আঙিনার রাঙিয়ে দিয়ে রক্ত আঁচলমিলন মোগো প্রতিকার;
Advertisement
মুক্তদেশের মানুষ হবোবাসবো ভালো সবাইরেতা না হলে ব্যর্থ যে হয়যুদ্ধে যাওয়া প্রতিজ্ঞার।
****
এমনই চেয়েছিলামএমনই চেয়েছিলাম মনে মনে ভাঁজ করাছিল যে নীল আলোকিত সৌম্য আকাশতা অবারিত হলো আজ; প্রস্ফুটিত নক্ষত্রেরা ফুটে মুছে দিলো রাত্রির কান্নার আওয়াজ—হতদরিদ্র মানুষের মুক্তির কথা ভেবে যে শপথ নিয়েছিলাম তাপ্রাপ্তির আশায় দুলে ওঠে আজ সবুজ ভোরে—স্তব্ধতা ভুলে নদীর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ওর মতো হাঁটতে শুরু করেছিলাম সুদূরের পানে—ভেঙে পড়া শম্পার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলাম এবার তোমার কোল আলো করে আসবে একজন কেউ, যার অপেক্ষায় ছিলে এতদিন তুমি, বন্ধ্যাত্ব ঘুঁচবে তোমার।
এসইউ/জেআইএম