অর্থনীতি

পাঁচ বছর বিরতির পর জাহাজ রপ্তানিতে ফিরলো ওয়েস্টার্ন মেরিন

দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর বিরতির পর আবারও জাহাজ রপ্তানিতে ফিরেছে চট্টগ্রামের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি শিপিং কোম্পানির জন্য এবার নির্মাণ করেছে ল্যান্ডিং ক্রাফট। জাহাজটির নাম রাখা হয়েছে ‘রায়ান’।

Advertisement

আগামী জানুয়ারির প্রথমে জাহাজটি রপ্তানি করা হবে। সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে জাহাজ রপ্তানি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বোট ক্লাব ঘাটে ওয়েস্টার্ন ক্রুজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান। ওয়েস্টার্ন মেরিন এ পর্যন্ত ১১টি দেশে ৩৩টি জাহাজ রপ্তানি করেছে। যার মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী, ওয়েস্টার্ন মেরিনের জিএম (অর্থ) আবুল মনসুর, শাহেদুল বাশার প্রমুখ।

Advertisement

আরও পড়ুন: জাহাজের মাস্টারের ওপর ক্ষোভ থেকে একে একে ৭ জনকে খুন করেন আকাশ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ওয়েস্টার্ন মেরিন সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি করেছে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি। ১ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যের দুটি জাহাজ সেদিন ভারতে রপ্তানি করা হয়েছিল। এ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছর পর রপ্তানিতে ফিরলো। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে রপ্তানি না করলেও শিপইয়ার্ডটি দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার জন্য জাহাজ তৈরি করেছে।

ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান বলেন, রেমিট্যান্স আমরা পাচ্ছি। পাশাপাশি দেশি গ্যাস, ইস্পাত, রং, ফার্নিচার, কেমিক্যাল, ইলেকট্রিক ক্যাবলসহ অনেক ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে উঠছে। বিগত সময়ে সরকারের তরফ থেকে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য লো কস্ট ফান্ড করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ নিতে পারেনি। ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য লো কস্ট ফান্ড সরকার দিতে পারে। ব্যবসা সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সেবাগুলোকে সহজীকরণটা খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণখাত আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ইয়ার্ড থেকে ৯টি জাহাজ রপ্তানির কাজ চলছে। আমাদের সম্পদ হচ্ছে জনশক্তি। তারা দক্ষ, কাজ করার উৎসাহ আছে। তাদের প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দিতে পারলে সাফল্য আসবে।

এমডিআইএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement