ফের ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করার আগেই তা প্রতিরোধ করেছে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
হামলার সময় ইসরায়েলের কিছু অংশে সাইরেন বেজে ওঠে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা।
এর আগে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের বাণিজ্যিক নগরী তেল আবিব এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় আশকেলন শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ড্রোন হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এর কয়েকদিন আগেই তেল আবিবে হুথিদের আরেকটি হামলায় ১৬ জন আহত হয়।
তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমানায় প্রবেশের আগেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। একটি ড্রোন ‘খোলা জায়গায়’ পড়েছে বলেও জানানো হয়। হামলার সময় গাজা উপত্যকার নিকটবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।
Advertisement
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দুজন নিহত হয়। ওই হামলার সময় সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালায় ইসরায়েল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সেসময় প্লেনে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডব্লিউএইচওপ্রধান গেব্রেয়াসুস বলেন, আমি এবং কর্মীরা একটি বিমানে উঠতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরটি বোমা হামলার শিকার হয়। আমাদের প্লেনের একজন ক্রু আহত হয়েছেন। আর বিমানবন্দরে দুজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ফের হুথিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইয়েমেনের বন্দর ও জ্বালানি স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯ ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হামলারাজধানী সানা এখন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েলে তাদের পক্ষে হামলা চালানোর একদিন পরই পাল্টা এই হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমানবন্দরে ছয়টির বেশি হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার হয়েছে পাশের আল-দাইলামি বিমানঘাঁটিও।
Advertisement
টিটিএন