চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে এমভি আল-বাখেরা জাহাজের মাস্টারসহ সাত শ্রমিক নিহতের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। এতে অচল হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের কার্যক্রম।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা থেকে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়।
অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতির কারণে বাঘাবাড়ী বন্দরে মালবাহী জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এতে অচল হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের সাত শতাধিক শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এ বন্দরে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল, সারসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ হয়ে থাকে।
বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বন্দরে কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে বন্দরের শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে বিপুল অংকের লোকসান গুনতে হবে।
Advertisement
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া এ কর্মসূচির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় মামলা পুলিশ-স্বজনদের ধারণা ‘পূর্ব পরিকল্পিত’, মরদেহ হস্তান্তরতিনি জাগো নিউজকে বলেন, চাঁদপুরে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাতজনকে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিচার, নিহতের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
বন্দরের লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু দাউদ মাস্টার জাগো নিউজকে বলেন, একজন ব্যক্তির পক্ষে একটা জাহাজ চালানো কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই হত্যার ঘটনায় জড়িত আটক একজনের বক্তব্য সঠিক না। এই হত্যা পরিকল্পিত। এর পেছনে আরও লোক রয়েছে। সরকারের উচিত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা।
বাঘাবাড়ী বন্দরের বাফার সার গোডাউনের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আনছারী জাগো নিউজকে বলেন, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বন্দরে সার ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। তবে টানা কয়েকদিন এই কর্মবিরতি থাকলেও উত্তরাঞ্চলের সারের সংকট হবে না বলে তিনি জানান।
Advertisement
বাঘাবাড়ী বিআইডব্লিউটির উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, বন্দরের কার্যক্রম অচল হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম এ মালেক/এসআর/এএসএম