দেশজুড়ে

পেছানো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২৮ ডিসেম্বর। ১২ বছর পর সেই সম্মেলনকে ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি। অপরদিকে এর বিরোধিতা করে আসছিল জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ একাংশের নেতাকর্মীরা। বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের ভোটারদের অনুরোধে অধিকতর প্রস্তুতির লক্ষ্যে ২৮ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৮ জানুয়ারি হবে।

২৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর এর প্রস্তুতি নিয়ে তৎপর ছিল বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীরা। এই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড স্কুল মাঠকে। সফল করতে ৮টি উপকমিটি করা হয়। পাশাপাশি প্রচারণা শুরু করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

Advertisement

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে সমাবেশে নেতারা এই সম্মেলন বাতিলের দাবি জানান।

এসময় নির্যাতিত ও ত্যাগীদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির চলমান রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে বক্তারা বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় ত্যাগীদের বঞ্চিত করে নিজস্ব পকেটের লোক দিয়ে সম্মেলনে চিত্র বার বার কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদককে জানানো হয়েছে। দলের ৯০ ভাগ ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন কখনো স্বচ্ছ হবে না।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মমিনুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/জিকেএস

Advertisement