টানা পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ সচিবালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২০টি ইউনিট কাজ করছে। তারা ঝুঁকি নিয়ে রাত থেকেই প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।
Advertisement
এদিকে সচিবালয়ে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার সার্ভিসকর্মী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। সহকর্মীর মৃত্যুর খবর জানার পরেও আগুনের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন ফায়ার ফাইটাররা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সচিবালয়ের আগুন নির্বাপণে হাতে থাকা আধুনিক সব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোন দিয়ে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অত্যাধুনিক ল্যাডার ও ফায়ারফাইটিং ভেহিকল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
তবে তাতে আগুনের তীব্রতা কমছে না। সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। বাইরে থেকেও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে আগুনের পাশাপাশি কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে সচিবালয়। একদিকে দেখা যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী এবং অন্যদিকে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় দুই প্লাটুন বিজিবি।
Advertisement
ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে সাত নম্বর ভবনের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে।
এর আগে রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে। এর কয়েক মিনিটের মাথায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ২০ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
টিটি/এমএইচআর