তথ্যপ্রযুক্তি

সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকারের স্বীকৃতি দিলো বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রণীত ‌‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ থেকে বিতর্কিত সব ধারা বাদ দিয়ে ‌‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’ খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

Advertisement

অধ্যাদেশে প্রত্যেক নাগরিককে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশের ২(ভ)-তে ইন্টারনেট প্রাপ্তির এ অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম এ স্বীকৃতি দিলো।

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়্যেব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নাগরিকদের সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সব নাগরিককে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২(ভ)-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ফাইজ তাইয়্যেব, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশটি সংজ্ঞায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যতমুখী। একই সঙ্গে প্রযুক্তি ও কারিগরি দিক দিয়েও সমৃদ্ধ। আইনটি মানবিক ও ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত সুবিধা দেবে। হয়রানির প্রশ্নে আদালতকে অবহিতকরণেও বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে। বিচারককেও পর্যাপ্ত স্পেস দিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ ছিল: পলক ইন্টারনেট শাটডাউনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশে গিয়েছিল

তিনি আরও বলেন, অনুমোদিত এ আইনের অধিকাংশ ধারাই জামিনযোগ্য করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিপরীতে শাস্তিকে কমিয়ে অর্ধেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের ১৭তম বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, নিশ্চিত থাকুন, নতুন যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ; এর মাধ্যমে সাইবার স্পেস যেমন সুরক্ষিত হবে, ঠিক তেমনি এটি আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করবে।

Advertisement

এএএইচ/ইএ