ফরিদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এ সাঈদ বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের উপার্জিত রেমিট্যান্সের প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ এদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশের শ্রমিকরা। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা বিদেশ থেকে প্রতিবছর ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। বিপরীত দিকে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী দেশের শ্রমিকরা ৫০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছেন।
Advertisement
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সভাকক্ষে আয়োজিত বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন বিষয়ক এক কর্মশালায় এ তথ্য দেন তিনি। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা এ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এ সাঈদ আরও বলেন, বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। তবে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান অষ্টম। কারণ আমাদের শ্রমিকদের বেতন কম।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদার, স্পেশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা নাসরিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাওন হাসান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারি, সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসীমউদ্দিন।
Advertisement
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা পেতে যেসব ধাপ অতিক্রম করতে হয় তা আরও সহজ করা দরকার। মামলার সময় সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো উল্লেখ করে মামলা করা দরকার। দেশের অনেক শ্রমিক বিদেশে যাওয়ার আগে তাদের নাম নিবন্ধন করেন না। অনেকে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
কর্মশালায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এস এম সায়েম আলী পাঠান।
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন ওকাপের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এ এ মামুন নাসিম। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ছাড়াও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রবাসী প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
এন কে বি নয়ন/এসআর/এমএস
Advertisement