একইদিনে মুক্তি পাওয়া দুটি সিনেমা বেশ ভালোই সাড়া ফেলেছে বক্স অফিসে। তবে প্রত্যাশার হিসাব খানিকটা এলোমেলো। ‘সোনিক দ্য হেজহগ ৩’ ছবিটি অনেক বেশি ভালো ফলাফল করেছে মোটা অংকের আয়ে। ওপেনিংয়ে সিনেমাটি ৬২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বলে দাবি করেছে হলিউড রিপোর্টার।
Advertisement
অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে দেখা হয় যেসব ছবি সেগুলোকে বলে প্যারেন্টাল গাইডেন্স বা পিজি মুভি। ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই তালিকার ‘দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া’ ছবিটি সেরা ওপেনিংয়ের শীর্ষে রয়েছে। এরপরেই ‘সোনিক ৩’ ছবির স্থান।
ছবিটির সাফল্য ডিজনির নতুন সিনেমা ‘মুফাসা : দ্য লায়ন কিং’-কে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। অনেক আশা জাগানো ছবিটি ওপেনিংয়ে মাত্র ৩৫ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পেরেছে। তবে এটিকে ফ্লপ বা মন্দ বলা যাবে না। ‘সোনিক ৩’- এর সঙ্গে পিছিয়ে থাকলেও ছবিটি দিয়ে ডিজনি সামগ্রিকভাবে খুব ভালো ব্যবসা করতে পারছে। কারণ তারা এই বছর বিশ্বব্যাপী টিকিট বিক্রিতে ৫ বিলিয়নেরও বেশি আয় করেছে। মহামারির পূর্ববর্তী সময়ের পর এটি একটি প্রতিষ্ঠানের আয়ের সেরা রেকর্ড।
‘সোনিক ৩’ ভালো করবে সেটা আশা করা হয়েছিল। তবে ছবিটি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে। সেগা ভিডিও গেমের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমাটি পরিবার ও সাধারণ দর্শকদের কাছে মুফাসার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।
Advertisement
‘সোনিক ৩’ সিনেমায় জিম ক্যারি, বেন শোয়ার্টজ, ও ইদ্রিস এলবার মতো তারকারা অভিনয় করেছেন। এতে অভিনয় করে বিরতি কাটিয়ে অভিনয়ে ফিরেছেন বিখ্যাত অভিনেতা জিম ক্যারি। আর কিয়ানু রিভস ছবিটিতে যোগ দিয়েছেন শ্যাডো দ্য হেজহগ হিসেবে। সিনেমাটি সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে ভালো রিভিউ পেয়েছে। রটেন টমেটোসে সমালোচকদের রেটিং ৮৮% এবং দর্শকদের রেটিং ৯৮%।
অন্যদিকে ডিজনির ‘মুফাসা’ প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো সাড়া পায়নি। বিশেষত আন্তর্জাতিক বাজারে দর্শকের আগ্রহ কম ছবিটি নিয়ে। তবে ২০১৯ সালের ‘লায়ন কিং’ সিনেমার চেয়ে এটি ভালো রিভিউ পেয়েছে এবং দর্শকদের কাছ থেকেও বেশি প্রশংসা পাচ্ছে। সিনেমাটি মুফাসা ও তার ভাই তাকা’র উত্থানের গল্প তুলে ধরেছে। তাদের সাহসিকতা এবং সংগ্রাম দেখানো হয়েছে। বারি জেনকিন্স পরিচালিত এই সিনেমায় লিন-ম্যানুয়েল মিরান্ডার গান রয়েছে।
এলএ/এএসএম
Advertisement