এমন দিন দেখতে হবে, কল্পনাও করেননি পেপ গার্দিওলা। দোর্দন্ড প্রতাপশালী একটি দলের এভাবে মুখ থুবড়ে পড়া মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকরা। সর্বশেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে ১টি মাত্র ম্যাচে জয়। বাকিগুলোর মধ্যে ৯টিতে হার, ফর্মের একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকে ম্যানচেস্টার সিটি।
Advertisement
সর্বশেষ শনিবার রাতে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ১-২ গোলে হেরেছে ম্যানসিটি। তবে কোচ পেপ গার্দিওলা এখনও খুব বেশি চিন্তা করতে রাজি নন। তিনি আশাবাদী, দ্রুতই তার দল জয়ের রাস্তায় ফিরে আসবে।
অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানসিটি। ১৬ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন জন ডুরান। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫ মিনিটের মাথায় মর্গান রজার্স দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন ভিলাকে। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে সিটি। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত (৯০+৬ মিনিট) আগে গোল করে ব্যবধান কমান ফিল ফোডেন।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেন, ‘যে ফল হয়েছে, তাতে নিজের পক্ষে বলার মতো কিছু নেই। ভাল খেলিনি আমরা। আমি চেষ্টা করতে পারি আবার জয়ে ফিরতে এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। এই সময় আমি বেশি চিন্তা করতে রাজি নই। সহজভাবে খেলতে চাই। নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে চাই। দলকে দিশা দেখাতে চাই।’
Advertisement
অন্যদিকে দুর্দিনে ম্যানসিটি খেলোয়াড়দেরও পাশে পাচ্ছেন পেপ গার্দিওলা। অ্যাস্টন ভিলার কাছে ১-২ গোলে হেরে যাওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আরলিং হালান্ড। পরাজয়ের জন্য দায়টা নিজের ঘাড়েই নিলেন হালান্ড। গত অক্টোবর থেকে মাত্র তিনটি গোল করেছেন এই নরওয়েজিয়ান তারকা।
টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আমি নিজের দিকেই তাকাই। আমি নিজে খুব ভালো খেলতে পারিনি। যে সব সুযোগ আমি পেয়েছি, সেগুলোকে নষ্ট করেছি। আমাকে অবশ্যই ভালো করা প্রয়োজন ছিল। অবশ্যই, আমাদের আত্মবিশ্বাস খুব ভালো নেই। আমরা জানি, আত্মবিশ্বাসের উন্নতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা দেখবেন, প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই এ সত্যটা কাজ করে। এটাই আমাদের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে এবং ইতিবাচক থাকতে হবে। এমনকি এটা অনেক কঠিনও।’
টানা হারের কারণে কোচ পেপ গার্দিওলার ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, আরলিং হালান্ড সেটাকে নাকচ করে দিয়েছেন। বরং জানিয়েছেন, পুরো দল তার পক্ষেই রয়েছে। হালান্ড বলেন, ‘তিনি সাত বছরে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয় করেছেন। সুতরাং, আমরা এটাকে কোনোভাবেই ভুলে যাব না। আমরা মনে করি, তিনি অবশ্যই সমাধান খুঁজে পাবেন। তিনি প্রতি বছরই এমনটা করে এসেছেন। আমাদের বিশ্বাস রয়েছে তার প্রতি। আগের চেয়ে আমাদেরকে আরও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’
আইএইচএস/
Advertisement