দেশজুড়ে

নীরব এনজিও, শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে অসচ্ছল রোহিঙ্গারা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু শীতের কাপড়ের দোকান। সামর্থ্যবান অনেক রোহিঙ্গা এসব দোকান থেকে শীতের কাপড় কিনছেন। তবে এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে ক্যাম্পগুলোতে এখনো শীতার্ত রোহিঙ্গাদের কোনো শীতবস্ত্র দেওয়া হয়নি। ফলে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন অসচ্ছল রোহিঙ্গারা।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের ভেতর ও ক্যাম্পের কাছাকাছি রাস্তার পাশে শীতের কাপড়ের দোকান বসেছে। যেসব রোহিঙ্গাদের সামর্থ্য আছে তারা দোকান বসিয়েছেন। এসব দোকান থেকে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় অনেকেই শীতের কাপড় কিনছেন। তবে যেসব রোহিঙ্গাদের সামর্থ্য নেই তারা এনজিও সংস্থার দিকেই শীতের কাপড়ের জন্য তাকিয়ে আছেন।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাপড় ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, শীতের মৌসুমের শুরুতে ক্যাম্পে দোকান বসিয়েছি। শুরুতে ভালো বেচা-কেনা হচ্ছে। শিশুদের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। দোকানে নারী-পুরুষ সবার জন্য শীতের কাপড় মজুত আছে। সামনে শীত বেশি পড়লে আরও ভালো বেচাকেনা হবে।

টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম উল্লাহ বলেন, প্রতি বছর শীতের শুরুতে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করি। এখন মোটামুটি কাপড় বেচা-কেনা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও শীতের কাপড় কিনছেন। শীতের কাপড়গুলো কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে কিনে আনা হয়। কম দামে শীতের বিভিন্ন ধরনের কোর্ট ও শিশুদের কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে ১১ বালুখালি ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শীতের সময় খুব কষ্ট পাচ্ছি। শীতের মৌসুম চলছে, এখনো কোনো এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে শীতের কাপড় দেওয়া হয়নি।

বালুখালি ক্যাম্পের আরেক রোহিঙ্গা শিশু সমিরা আক্তার জানায়, আমাদেরকে এখনো কেউ শীতের কাপড় দেয়নি। সকালে মাদরাসায় পড়তে যাওয়ার সময় শীত লাগে। বিকেল ও রাতেও অনেক কষ্ট হয়।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত) মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, এখন বরাদ্দ কমে গেছে। তাই দাতা বা এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়নি।

এফএ/এমএস

Advertisement