নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ছলচাতুরী করে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার (নির্বাচনের) যে রোডম্যাপ দিয়েছে তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ, জনগণ এটা প্রত্যাশা করেনি। কোনো ভুল হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে ধারাবাহিক সাক্ষাতের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবার আছে। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। স্বৈরাচারের প্রভাবে নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধি ও সব ক্রিমিনাল একত্রিত হয়ে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে, কোনো দলকে সংগঠিত করলে তা অপরাধীদের দল হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীজনদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট সচেতন। তারা কিন্তু উটপাখির মতো বালির নিচে মাথা গুঁজে নেই। পতিত শেখ হাসিনা যে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন সে দেশের সরকার মিডিয়াকে প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
আরও পড়ুন একদিনের জন্য হলেও শেখ হাসিনাকে আয়নাঘরে যেতে হবে: ফারুক ইসি হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন বিলম্বের প্রয়োজন নেই: ফখরুলবিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম থেকে কখনো পিছপা হয়নি বিএনপি। অনেকে অনেক কিছু করেছে, কিন্তু বিএনপি কখনো দলীয় স্বার্থ হাসিল করেনি। জাতির সব অর্জনে গর্ব করার দল বিএনপি। ১৯৭১, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ১৯৯০ এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ছিল গৌরবোজ্জ্বল অবদান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কৃতকর্মের প্রতিবাদ ছিল ৭ নভেম্বর। এরশাদকে জাতীয় বেইমান বলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এরশাদের দলে ভেড়েন (সমর্থন জানান) শেখ হাসিনা। ৯০ নিয়েও গর্ব করতে পারে না আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্টের আন্দোলন শেখ হাসিনার গর্ব করার নয়, পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি, আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য নাজমুল হাসান, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
Advertisement
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আওয়াল, হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, আদাবর থানা যুবদল নেতা রাফি উদ্দিন ফয়সাল, সাকিবুল হোসেন, মাহফুজ, জিয়া সাইবার ফোর্সের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন, শারিফুল, মোহান, মিসবাহ, রুবেল, মাসুম প্রমুখ।
কেএইচ/কেএসআর/এএসএম