ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ তোলে মানবাধিকার সংস্থাটি।
Advertisement
এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গাজায় জরুরি পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম পরিমাণ পানিও সরবরাহ করতে দেয়নি। শুধু এ কারণেই উপত্যকাটির হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের রোগ।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এমনকি ন্যূনতম এই পরিমাণ পানিও জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। গাজাবাসীদের আওতায়ধীন এলাকায় থাকা পানি সরবরাহের প্রায় পুরোটাই পান অযোগ্য। এমনকি, সদ্যোজাত যেসব শিশু মায়ের অপুষ্টির কারণে বুকের দুধ পায় না, তাদেরকেও এই দূষিত পানিতে মেশানো খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ড জেনোসাইড কনভেনশন ও রোম স্ট্যাটিউট অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) লঙ্ঘন। পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে গাজাবাসীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসা‑খাদ্য সহায়তাসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তাকেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে, ইসরায়েল বরাবরের মতো এইচআরডব্লিউর এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে। এর আগেও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলের। এ বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদন মিথ্যায় ভরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মৌলিক চাহিদা মেটাতে একজন ব্যক্তির দিনে ৫০‑১০০ লিটার পানির প্রয়োজন। আর জরুরি পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির পানি প্রয়োজন অন্তত ১৫‑২০ লিটার।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার প্রত্যুত্তরে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হলেও, বিশ্ববাসীর তরফ থেকে শান্তিপ্রক্রিয়ার নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও এ যুদ্ধ থামায়নি নেতানিয়াহুর সরকার।
সূত্র: সিএনএন
Advertisement
এসএএইচ