দেশজুড়ে

পুলিশের সাবেক এডিসি দস্তগীর ৫ দিনের রিমান্ডে

সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক এডিসি সাদেক কাউসর দস্তগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত-১ এর বিচারক আবদুল মোমেন তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রর আসামির রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর জেলা থেকে এডিসি দস্তগীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারের পর তাকে সিলেটের পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পিবিআই সিলেট কার্যালয় থেকে প্রিজনভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে নেওয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুরাব হত্যায় পুলিশের সাবেক এডিসি দস্তগীর গ্রেফতার

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীরকে আদালতে তোলা হবে খবর পেয়ে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে অপেক্ষা করতে থাকেন জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও পিবিআই সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসেন। এসময় তাকে সিঁড়ি দিয়ে তোলার সময় উৎসুক জনতা কিল-ঘুসি মারার চেষ্টা করেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যদিয়ে এজলাসে নিয়ে যান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রব বলেন, সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ জুলাই দুপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে গত ১৯ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা করেন তুরাবের ভাই আবুল আহসান মোহাম্মদ আজরফ।

মামলায় সিলেট মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার (ডিসি) আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাদেক দস্তগীর ও কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিনসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

Advertisement

আহমেদ জামিল/এসআর/এএসএম