যশোরের একটি মাদরাসার ভিডিও নিয়ে এরই মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। ভিডিওটি যশোর সদর উপজেলার রামনগর রাজারহাট এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার। যা রাতে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পরে জানা গেছে, গত ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর মাদরাসাতে বার্ষিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নাটক মঞ্চায়ন হয়। সেই নাটকের দৃশ্য ছিল এটি।
Advertisement
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম মন্তব্য করতে দেখা যায়। নেটিজেনরা অনেকেই কাজটির নিন্দা জানিয়েছেন। কেউ কেউ আসল বিষয়টি তুলে ধরেছেন। অনেকে প্রতিষ্ঠানকে আরও সচেতন হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
রনি রেজা লিখেছেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা সবাই-ই যেমন খুশি তেমনই সাজি। যার মনমতো হয় সে দেয় হাততালি। আর মতের অমিল হলেই গালি।’
মাহাবুর আলম সোহাগ লিখেছেন, ‘যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে লুট করার জন্য উপযুক্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ে না। যখন-তখন করা যায়। কিন্তু যেমন খুশি তেমন ইচ্ছে করলেই সাজা যায় না, সাজতে হয় না। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেক কিছু বুঝতে হয়। দেশ ভালো সময় অতিক্রম করছে না। আসুন সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হই। সমাজে যে কোনো মেসেজ ছড়ানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি।’
Advertisement
আরও পড়ুন
বনশ্রীতে খাদে পড়া বাসের যাত্রীর বয়ান শ্রীজাতের কবিতার জবাবে নেটদুনিয়ায় প্রতিবাদবাপ্পি শাহরিয়ার ওপাল লিখেছেন, ‘হামাস স্টাইলে এমন ভাবে ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ করতে হবে কেন? যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখ ঢাকা একজন আরবি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন। ঠিক তার পাশেই দুজন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে গার্ডের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। মঞ্চের আশপাশে বেশ কয়েকজনকে শ্রোতা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তবে যশোর সদর থানার রামনগর ইউনিয়নের রাজার হাটে অবস্থিত মাদ্রাসায় মঙ্গলবার আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানটি ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।’
পলিয়ার ওয়াহিদ লিখেছেন, ‘যেমন খুশি তেমন সাজোর ভিডিওটা নিয়ে ওরা সারাদিন ‘যেমন খুশি তেমন গুজব’ ছড়াইলো!’ সদ্য সমুজ্জ্বল লিখেছেন, ‘আমাদের যশোর যেমন খুশি তেমন সেজেছে।’
এমএসআই সাগর লিখেছেন, ‘দেশে এখন এত স্বাধীনতা যে, সবাই যেমন খুশি তেমন সাজে পারফর্ম করছে! এসবের মাঝেই ফুটে উঠছে অভূতপূর্ব, অতুলনীয় ও অপার্থিব সব সৌন্দর্য!’
Advertisement
আহমেদ তেপান্তর লিখেছেন, ‘যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় নাটকচর্চার নামে যা হয়েছে; তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষকে আইনের আওতায় আনা জরুরি। নয়তো এরা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
এসইউ/এমএস