ক্যাম্পাস

বিজয় দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের আলোচনা সভা

৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইসলামী ছাত্র শিবিরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘সাতচল্লিশ-একাত্তর-চব্বিশ: আমাদের বিজয় পরিক্রমা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মির্যা গালিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ। সভাপতিত্ব করেন ঢাবি শিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক (কায়েম) এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।

সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে কোনো মাইনরিটি নেই। মাইনরিটি তারাই যারা বাংলাদেশ ধারণায় বিশ্বাস করে না। দেশে কেউ ধর্মীয় বা জাতিগত কারণে মাইনরিটি হতে পারে না। আপনি মুসলমান হয়ে যদি আপনি বাংলাদেশ ধারণায় বিশ্বাস না করেন আপনি মাইনরিটি, তখন আপনি যে ধর্মেরই হন আপনি মাইনরিটি। যখনই তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় দরকার প্রয়োজন হয়েছে, তারা মাইনরিটি কার্ড খেলেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

এবার অন্যরকম বিজয় উৎসব শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ‘বিজয়ের লাল জুলাই’ ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ

নরেন্দ্র মোদীর বিজয় দিবস নিয়ে স্ট্যাটাসের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজয়কে তিনি ভারতের বিজয় বলে দাবি করছেন। যদি এটা ভারতের বিজয় হয়ে থাকে তাহলে একাত্তরে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছে তারা কি সঠিক ছিল? আর যদি তা না হয় তাহলে ভারত মিথ্যাবাদিতা করছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আমরা আগের বিজয় দিবসগুলোতেও রাহুল গান্ধী, নরেন্দ্র মোদীর স্ট্যাটাস দেখেছি। তারা সবসময়ই এটা তাদের বিজয় দিবস বলে দাবি করে আসছে। সে সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তারা কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। তারমানে তারা নিজেরাই আমাদের বিজয়ের ট্রফি তাদের দিয়ে তুলে দিয়ে এসেছে। একাত্তর যে আমাদের এই দাবি করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভারত আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলে প্রতিষ্ঠা করেছে।

বাহাত্তরের সংবিধান গার্বেজ মন্তব্য করে তিনি বলেন, পাঁচ আগস্টের পর থেকেই সংবিধান নাই, রাষ্ট্রপতি নাই। যে রাষ্ট্রপতির বৈধতা নাই, সেই রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে আমার যাওয়া মানে নিজের সঙ্গে প্রতারণা। যারা আজ রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে গেছে তারা হয় এই বিপ্লবের চেতনায় বিশ্বাস করে না, বা তারা মনে করেন এই সংবিধানে তাদের একটা স্টেক আছে।

Advertisement

এছাড়া বক্তারা আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

এমএইচএ/বিএ/এমএস