বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যানাটমি বিভাগে মরণোত্তর দেহদান করেছেন মাহবুব উর রহমান (৭৪) নামে এক ব্যক্তি।
Advertisement
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিভাগের মরচুয়ারি, প্ল্যাস্টিনেশন ল্যাব, স্কিন ল্যাব অ্যান্ড মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে তার মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানার কাছে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ সময় সাবেক ভিসি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি অ্যানাটমি বিভাগে শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এ সময় ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম দাতা মাহবুব উর রহমানের সন্তান জ্যোতির্ময় রহমান ও উজ্জয়ী রহমানসহ পরিবারের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে এ ধরনের ‘মহতী কাজে’ এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
Advertisement
আরও পড়ুন:
মরণোত্তর দেহদান সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাপরে মরদেহ সংরক্ষণের জন্য এমবামিং প্রক্রিয়া শুরুর প্রাক্কালে মরদেহের যথোচিত সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয়।
এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মো. শহিদুল হাসান, ভিসির একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অ্যানাটমি বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. লতিফা নিশাত, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাফিনাজ গাজী, সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আক্তার সুমি ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাসুম।
Advertisement
এএএম/এমআরএম/এমএস