বেহালা, বাঁশি, সারিন্দা, সানাই কিংবা অর্কেস্ট্রার সুরে শীত শীত আবহাওয়ার এক সন্ধ্যা সংগীতময় হয়ে উঠেছিল ঢাকার বাইরের কয়েক নগরীতে। পাঁচ বিভাগীয় নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে সুরের এ আবেশ তৈরি করেছিলেন যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা; যারা এসেছেন নগরী, জেলা শহর ও প্রান্তিক পর্যায় থেকে।
Advertisement
শনিবার সন্ধ্যায় এমন আয়োজন বসেছিল সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল নগরীর বিভিন্ন জায়গায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছিল যন্ত্রসংগীত উৎসব ২০২৪ এর।
শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, প্রত্যেক বিভাগের জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের শিল্পীরা এ উৎসবের পরিবেশনায় অংশ নেন।
সিলেটের চাঁদনী ঘাট ও ক্বিন ব্রিজ চত্বর; রংপুরে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ ও টাউন হল চত্বর; রাজশাহীতে লালন শাহ মুক্ত মঞ্চ; ময়মনসিংহে বৈশাখী মঞ্চ-২ ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্ক; খুলনায় শহীদ হাদিস পার্ক মুক্তমঞ্চ এবং বরিশালে বেলস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ উৎসব।
Advertisement
প্রতিটি আয়োজনে ৫৫-৮০ জন যন্ত্রশিল্পী যৌথ ও এককভাবে তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। ময়মনসিংহে তবলা পরিবেশন করে ১৭ জন শিশু শিল্পী। বৃন্দ ঢোল বাদন, একক বেহালা বাদন, সারিন্দা-খমক-বেহালা বাদন, একক সেতার, অর্কেস্ট্রা, সানাই বাদন, বাঁশি বাদন উপস্থাপন করেন শিল্পীরা।
সিলেটে মাদল, বেহালা, বাঁশি, মৃদঙ্গ, গিটারসহ বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়েছে।
খুলনায় তবলার লহড়া, বাঁশি, রাগ ইমন, বেহালায় রাগ সংগীত, রাগদেশ, ত্রিতাল, ভৈরবী প্রভাতী, দেশ রাগ, কাফি রাগ এর সুরের মুর্ছনা, সেতারসহ বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করেন খুলনার যন্ত্রশিল্পীরা।
বরিশালে তবলার লহড়া, দোতারায় রাগ, ঢোল, বেহালা, কাহন, শেইকার, খমক, পারকিউশনের উপস্থাপনা উপভোগ করেন আগত দর্শনার্থী ও শ্রোতারা।
Advertisement
রাজশাহীতে সমবেত পরিবেশনায় ছিল ধুন, রাগ যন্ত্রে সংগীত, বেঞ্জু, পিয়ানো, বাঁশি, তবলার লহড়া, বাংলার ঢোল, সরোদ, কর্নেট, পাখোয়াজ ও অনান্য যন্ত্রসঙ্গীত।
শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের সমন্বয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলোর ব্যবস্থাপনায় সারাদেশে এ উৎসব আয়োজন হচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, সময়ের বিবর্তনে চর্চার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে যন্ত্রসংগীত। পৃষ্ঠপোষকতা ও চর্চার মাধ্যমে সংগীতযন্ত্র টিকিয়ে রাখা এবং শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য এ আয়োজন করা হচ্ছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম বিভাগে উৎসবের সমাপনী হবে, যাতে উপস্থিত থাকবেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। এমআই/এমএস