অন্ধকারের দিকে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
Advertisement
ঘরকে করেছি অন্ধকারজানালা দিয়ে উঁকি দিলামঅসংখ্য ছায়া আঁকাখেজুর কিংবা বাবলা গাছের মতো।পুড়ে গেছে ঘাস, তবুও কিছুটা সবুজজিদের অসুখ পড়েছে ঘাসের উপরলোভাতুর জিভ মেখেছে স্বাদ।
নতুন হাতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনাবৃষ্টিতে হবে আমাজনআগামী বছর।
****
Advertisement
অসুখের প্রেসনোট
দুঃখদেরও সীমা আছে, সীমানা থাকেএকাকিত্ব মানুষকে এলোমেলো করে।
আমার চোখ থেকে মেঘ গলে যাচ্ছেআমার জিভের মধ্যে গলে যায় সাদা মেঘসাদা গোলাপের মতো একই রংমনে বিচ্ছিরি ছাই প্রায় কালোকালো রং ঠিক অন্ধকারের মতো একই রং।
ঘাসের পিঠে শুয়ে সময়ের সমান্তরাল খণ্ডআঙুলের মাধ্যমে স্খলনআলেয়ার আলোর মতো অধরাঅসংখ্য ঝড় থেকে যাচ্ছে মস্তিষ্কের গহিনে।
Advertisement
****
বিরহ
সোনালি, তোমার কথা ভেবে ব্যথায় হৃদয় ছটফটভেতরে ভিসুভিয়াসের লাভা, অনির্বাণ শিখা দু’দণ্ডের বিরহেও করে তোলে আকুলপ্রতিটি সময়নিয়তি তবুও দূরে টেনে নিয়ে যায়!
সোনালি, মনে পড়ে সুরমাপাড়ের গল্পমনে পড়ে নীলাচলের গল্প—জবা ফুল খোঁপায় মেখে দেওয়ার গল্পতোমার উষ্ণ স্পর্শ নিয়ে মিথ্যা বলিনিতোমার প্রতারক আলিঙ্গন নিয়ে সত্য বলিনি।
সোনালি, পূর্বদিকে নীল পাহাড় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েমেঘদল খেলছে শরীরজুড়েআরও পূর্বে সূর্যোদয়, পাহাড়ের ঢেউ, নীল প্রসারিতসীমাহীন নীল, দ্যুতিময়উপত্যকায় জীবন-সংগ্রামনীল জরি স্বপ্নের মতো জেগে ওঠে।
সোনালি, তবুও তুমি অন্তহীন আবেদনতোমার নিরবধি মুখ তো কুতুবদিয়ার বাতিঘরঅন্ধকারকে তাড়া করে সব সময়।
এসইউ/জেআইএম