ফিচার

ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিজ্ঞানপ্রিয়র শাওন মাহমুদ

মো. আশিকুর রহমান

Advertisement

বিজ্ঞান শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছর যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক ‘ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ। ৫ ডিসেম্বর ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। শাওন মাহমুদ নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ একটি স্বীকৃতি। যা প্রিন্সেস ডায়ানার স্মরণে তরুণ সমাজসেবীদের দেওয়া হয়। তরুণদের উদ্ভাবনী কাজ এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করে এ পুরস্কার। ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

২০১৮ সালে শাওন মাহমুদ প্রতিষ্ঠা করেন বিজ্ঞানপ্রিয়। যা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক নেটওয়ার্ক। বিগত ছয় বছরে এটি ১৫ লাখের বেশি বিজ্ঞানপ্রেমীর বিশাল কমিউনিটি হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত তারা ২৫ হাজার ডিজিটাল কনটেন্ট, ৩৫০টিরও বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যচিত্র ও ২ লাখ ৫০ হাজার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর করেছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে পড়ছেন শিহাব যেভাবে ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ পেলেন জনী

‘প্রজেক্ট প্রাচি’ শাওনের একাধিক উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের একটি। এ প্রকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার পরিবারের অন্তত একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসায় দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় ২০০ স্কুলশিক্ষার্থীকে ১৮ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তারা।

ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড অর্জনের প্রসঙ্গে শাওন মাহমুদ বলেন, ‘ডায়ানা পুরস্কার আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটি প্রাপ্তি। এটি কেবল একটি পুরস্কারই নয় বরং ইতোমধ্যে যে পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি, তার অনন্য স্বীকৃতি। পথটা যেহেতু সঠিক; তখন গতি বাড়ানোটাই হবে প্রথম দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলা ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। উদ্দেশ্য, দেশ-বিদেশে কর্মরত বাঙালি গবেষকদের সঙ্গে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের সংযোগ সেতু তৈরি করা। দেশের মেধাবী দেশেই থাকবেন—এ প্রত্যাশা বাস্তবায়নে দেশে প্রচুর গবেষণাকেন্দ্রিক কর্মসংস্থান খাত তৈরি করার বিকল্প নেই। যার মূল স্তম্ভ হতে পারে এ পরিকল্পনা।’

এক অভিনন্দন বার্তায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘শাওন মাহমুদের এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের ও সম্মানের। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ সম্মাননা তাকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার, উদ্ভাবনী কাজ এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করবে।’ তিনি শাওন মাহমুদের সংগঠন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’র সাফল্য ও তার মঙ্গল কামনা করেন।

Advertisement

লেখক: অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, নবোদ্যম ফাউন্ডেশন।

এসইউ/এএসএম