হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে সংঘর্ষে ২৮ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। দেশটির জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাসিন্দাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে এসব সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী।
Advertisement
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে পেটিওন-ভিল এলাকায় হামলার ঘোষণা দেন জিমি শেরিজিয়ে নামে একজন গ্যাংলিডার। তিনি সাবেক এলিট পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শক্তিশালী সন্ত্রাসী জোট ‘ভিভ আন্সানম’ (একসঙ্গে বেঁচে থাকা)-এর নেতা হয়েছেন।
শেরিজিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্টিয়াল ট্রানজিশন কাউন্সিলের (সিপিটি) পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ভিভ আন্সানম জোট সিপিটির অপসারণ নিশ্চিত করতে সব উপায় ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী বহনকারী দুটি গাড়ি পেটিওন-ভিলে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে একটি গাড়ি প্রধান রাস্তা অবরোধ করে।
পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও হাইতির জাতীয় পুলিশের ডেপুটি মুখপাত্র লিওনেল লাজার জানান, পুলিশ ও সন্ত্রাসবিরোধী স্থানীয় বাসিন্দাদের যৌথ অভিযানে ২৮ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের অনেকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলে এবং মরদেহগুলো স্তূপাকারে জড়ো করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা।
এ ধরনের প্রতিশোধমূলক সহিংসতা হাইতিতে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের ভয়াবহ রূপ হয়ে উঠেছে। গত বছর দেশটির রাজধানীতে সন্দেহভাজন অনেক সন্ত্রাসীকে পাথর মেরে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
Advertisement
২০২১ সালের ৭ জুলাই নিজ বাড়িতে হত্যার শিকার হন হাইতির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। এই হত্যাকাণ্ডের পর দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে অপরাধী গোষ্ঠীগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এটি সেখানে সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা এবং ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘ মানবিক এয়ার সার্ভিস গত সোমবার জানিয়েছে, এক সপ্তাহ বিরতির পর তারা আবারও হাইতিতে ত্রাণবাহী ফ্লাইট শুরু করবে। তিনটি বাণিজ্যিক প্লেনে গুলির ঘটনার পর এই বিরতি দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: আল-জাজিরাকেএএ/