ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে এক আদেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহা. আবুল মনসুর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
মুহা. আবুল মনসুর ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা হতে ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারার বিধান মোতাবেক এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
Advertisement
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে বলা হয়, ২০ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একাংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির আরেকটি অংশ একই স্থানে একই সময়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে কোনো পক্ষকেই সম্মেলন বা আলোচনা সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন
কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫০ ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি: তারেক রহমানআদেশে আরও বলা হয়, যেহেতু ১৮ নভেম্বর একাংশের মিছিলকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে, ফলে উভয়পক্ষ একই স্থানে একই সময়ে সম্মেলন কিংবা আলোচনা সভা আয়োজন করলে বর্ণিত স্থানের এবং আশপাশের সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা হতে ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২০ নভেম্বর) বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সাবেক এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে পল্লী বিদ্যুতের মোড় থেকে আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদারের নেতৃত্বে কাউন্সিলবিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৫০জন নেতাকর্মী আহত হন।
Advertisement
আবুল হাসনাত মো. রাফি/ইএ