স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৮৩ রোগী

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২১ জনে। আরও ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৮৩ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৬৮ জনে।

Advertisement

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের, দুইজন চট্টগ্রামের, ঢাকা বিভাগের একজন ও একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ২৪৪ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১১৫ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৮৪ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৮ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

Advertisement

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৮১ হাজার ৬৮ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৪২১ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৬০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান

এএএম/এমএএইচ/এমএস